শীত আসতেই ধুলোবালির সমস্যা বেড়ে যায়। ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা, অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ধুলোবালির কারণে প্রকোপ আরও বাড়ে। ধুলোবালি থেকে ঘরবাড়ি, পোশাক ও বিছানাপত্র কীভাবে বাঁচাবেন জেনে নিন।
শীতের পোশাক উলেন, ফানেল, পশমি পোশাকে একটু বেশি জমে ধুলোবালি। তাই এসব শীতের পোশাক পরার আগে ও পরে রোদে দিন। তা না হলে বাড়ির যেখানে হালকা রোদ আসে সেখানে কিছুটা সময় রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা হলে পরুন বা আলমারিতে তুলে রাখুন।
ধুলোবালি এড়াতে প্রতি সপ্তাহে বেড কভার, বেড শিট, পিলো কভার বদলান। শীতে গায়ে দেওয়ার কম্বল বা কম্ফোর্টার প্রতি সপ্তাহে ধোয়া সম্ভব না।
তাই প্রতি সপ্তাহে রোদে দিয়ে কিছুক্ষণ পর ঝেড়ে নিন। ছোট কুশনগুলোকেও কভার ছাড়িয়ে রোদে দিন এবং ধুলো ঝেড়ে ফেলুন।
আসবাবের ধুলো পরিষ্কার করতে ডাস্টারের পরিবর্তে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ডাস্টার দিয়ে ধুলো পরিষ্কারের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে। আবার সূক্ষ্ম কাঠের কারুকাজ করা ফার্নিচারে এমন ধুলো পড়ে যে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/kobjir-pain-a/
শীতের সময় ঠান্ডা এড়াতে অনেকেই ঘরের মেঝেতে কার্পেট বিছান। অথচ কার্পেটে অধিকাংশ সময়ই অনেক ধুলো জমে। বাড়িতে যদি কারও অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা থাকে, কার্পেটের কারণে আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন কার্পেট রোদে দিয়ে, লম্বা লাঠি জাতীয় কিছু দিয়ে ভালো করে ঝাড়ুন। কিংবা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকলে, তা দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। নিয়মিত দরজা-জানালার কাচও পরিষ্কার করে নিন।