অফিস হোক বা বাড়ি দুপুরের খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমে চোখ বুজে আসে অনেকের। তবে অনেকেই মনে করেন, দুপুরে ঘুমোলেই ওজন বেড়ে যায়।
দিবানিদ্রা কিন্তু মোটেও বদভ্যাস নয়। বরং এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বটে। কম সময়ের জন্য হলে সেটা শরীরের পক্ষে ভাল। তবে ভাতঘুম লম্বা হয়ে গেলেই মুশকিল।
তাই বাড়িতে থাকলে তো বটেই, অফিসেও দুপুরের খাওয়া সেরে সুযোগ পেলে নিয়ে নিতে পারেন ‘মিনি ন্যাপ’। শরীর চাঙ্গা করতে এই অভ্যাসের কোনও জুড়ি নেই। জেনে নিন ভাতঘুম কেন এত জরুরি।
ভাতঘুমের উপকারিতা
১. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিয়ে পারে।
২. ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। খাওয়ার পর ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পড়াই ভাল। এতে মন ও মেজাজ দুই-ই চাঙ্গা থাকে। মানসিক চাপও কমে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পিসিওডির সমস্যা থাকলে এই অল্প সময়ের ঘুম বেশ উপকারী।
৩. কাজের মাঝে ক্লান্তি এলে অনেকেই ভরসা রাখেন এক কাপ কফিতে। অনেকেই ঠিক মতো মনসংযোগ করতে পারেন পারেন না। দুপুরে খাওয়ার পর মিনিট দশেকের ঘুম কফির থেকেও বেশি কার্যকর হতে পারে। এই অভ্যাস আপনার ক্লান্তি দূর করবে। কাজের মাঝে মনোসংযোগও বাড়বে।
৪. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাওয়ার পর আধাঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঘুমালে মানসিক চাপ কমে, সে কারণে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃৎস্পন্দনের হারও স্বাভাবিক থাকে।
৫. কাজ করতে করতে অনেক সময়ে একঘেয়েমি আসে। মাথায় নতুন চিন্তা-ভাবনা আসে না। ফলে কাজের ক্ষতি হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেন, তা হলে আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে। কিছুক্ষণের ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ভাতঘুমে কী কী নিয়ম মানতে হবে
১. চেষ্টা করুন দুপুর ৩টার আগেই ঘুমিয়ে পড়ার। বিকেলের দিকে ঘুমালে চলবে না।
২. দুপুরে খাবারের পর চা, কফি, চকোলেট, সিগারেট না খাওয়াই ভাল। তা হলে ঘুম আসবে না মোটেই।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/sugar-jotota-khoti/
৩. ঘুমানোর সময় ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না।
৪. ৩০ মিনিটের বেশি ভাতঘুম নয়।