বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ভারতে ক্রমে বাড়ছে। বিশেষত বৈদ্যুতিক বাইকের ক্ষেত্রে মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। ইলেক্ট্রিক বাইকের অনেক সুবিধা রয়েছে। আর্থিক দিক বিদ্যুৎচালিত বাহন সাশ্রয়ী, বারবার পেট্রোলের জন্য টাকা খরচ করার ঝামেলাও দূর করে। ভারতের কিছু স্টার্টআপ তাদের বৈদ্যুতিক দুই চাকার গাড়ি নিয়ে বাজারে পা রেখেছে ইতিমধ্যে।
তাদের মধ্যে একটি কোম্পানি ওবেন ইলেকট্রিক। ওবেনের একটি বাইকের মডেল ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। বেশ বোল্ড লুকের এই ই-বাইকটির নাম ওবেন রোর। এ ছাড়া আগামী দিনে আরও কিছু মডেল তারা বাজারে নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেম ২ এবং রাজ্য ভর্তুকি সহ এই বৈদ্যুতিক বাইকটি মহারাষ্ট্রে ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে ওবেন রোরের দাম ১.০৩ লক্ষ টাকা, গুজরাটে ১.০৫ লক্ষ টাকা, রাজস্থানে ১.১৫ লক্ষ টাকা, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানায় ১.২৫ লক্ষ টাকা।
লুক ছাড়াও বাইকটির প্রচুর ফিচার রয়েছে যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। চমৎকার ডিজাইন ও স্টাইলের এই বাইকটিতে এলইডি হেডল্যাম্প, স্প্লিট স্টাইল সিট, বর্ধিত রিয়ার এবং পেছনের যাত্রীদের জন্য টু পার্ট গ্রাব রেল সহ রাউন্ড এলইডি – ডিআরএল দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এই বাইকটি মাত্র ৩ সেকেন্ডে ০-৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চালিত হতে পারে। বাইকের সর্বোচ্চ গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বলে জানা গিয়েছে। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে যে এটি ফুল চার্জে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। বাইকের রেঞ্জ নির্ভর করে গাড়ি চালানোর ধরণের ওপর এবং মোডের ওপর।
বাইকটিতে তিনটি রাইডিং মোড দেওয়া রয়েছে। ব্যাটারি ঠাণ্ডা রাখার প্রযুক্তিও দেওয়া হয়েছে এই বাইকটিতে। এতে রয়েছে ৪.৪ কিলোওয়াট-আর ব্যাটারি প্যাক। বৈদ্যুতিক বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক ফোর্ক এবং পিছনে মনোশক সাসপেনশন রয়েছে। বাইকটির দুটি চাকায় ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে।
তবে নেই এবিএস ফিচার। বাকি ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি। বাইকটির মোট ওজন ১৩০ কেজি।