ই-কমার্স বলতে আমরা যা বুঝি সে সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব ই-কমার্স হল ইলেকট্রনিক কমার্স। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা একই স্থান থেকে অন্য স্থানে কেনা-বেচার মাধ্যমিকে ই-কমার্স বলা হয়।একে অনেক সময় ইন্টারনেট কমার্সে বলা হয়।
বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা প্রচুর টাকা আয় করছে শুধুমাত্র অনলাইন স্টোর এবং অনলাইন-কেনাবেচা এর মাধ্যমে। যদি আপনিও চান আপনার জীবনকে উপভোগ করার জন্য, অনলাইন স্টোর খুলে কেনাবেচার মাধ্যমে টাকা আয় করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমি আপনাকে উপদেশ দিতে পারে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যেখানে আপনি আপনার পণ্য প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন রিভিউ দিতে পারবেন এবং তা সবার মাঝে উপস্থাপন করে একটি ভাল আয় করার মাধ্যম তৈরি করে নিতে পারবেন। পাশাপাশি একটি রিভিও ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স সাইট হরেক উপায়ে আয় করা সম্ভব। যদি ইন্টারনেটের শক্তিকে ব্যবহার করে এক্সট্রা বাক(Buck) অথবা ভালো ফ্রেম এবং ওয়ালেট নিতে চান তাহলে এটি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। বর্তমানে যোগাযোগ করার জন্য ইন্টারনেট সর্বপ্রধান মাধ্যম।
ইন্টারনেট হলো একটি বিশাল স্টোর হাউস যেখানে অসংখ্য ইনফরমেশন আছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পণ্য সম্বন্ধে অনলাইন-কেনাবেচা ইন্টারনেটে মজুদ আছে। এখানে যেকেউ তার ই-কমার্স ব্যবসায় টিকিয়ে রাখতে পারছে।
যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট খোলার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে এর আগে কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে ধারণা নিতে হবে। যেমনঃ একটি অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে সফল ভাবে, তাদের কৌশল কিভাবে সম্পন্ন করবেন তা বুঝতে হবে। পাশাপাশি একটি অনলাইন স্টোর খুলে সেখানে প্রোডাক্ট গুলো কিভাবে বর্ণনা দিবেন তার সম্বন্ধে জানতে হবে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ হলো অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা আয় করার অন্যতম প্রধান উপায়। যদি আপনার একটি সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ পরিণত করতে কোন সমস্যা হবে না। কেননা তার ট্রাফিক কে কাজে লাগিয়ে ভিজিটরদের মনোভাবে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এনে আপনার ই-কমার্সের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে পারেন।
বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবসা সম্পূর্ণ ভিজিটর এর উপর নির্ভর করে। যে ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর সে ওয়েবসাইটে ব্যবসা তত বেশি ভালো। আর এর জন্য সবাইকে ভিজিটর আনার শিল্প আয়ত্ত করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল গুলো ঠিক সেটাই করছে। কিভাবে তাদের ভিজিটর ধরে রাখতে পারে অথবা অসংখ্য ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে পারে যদি সেদিকে জোর দিচ্ছে। কোন ভাবে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখতে পারেন অথবা বিভিন্ন পেইড এড, গুগল সার্চ অপটিমাইজেশনে আপনার ওয়েবসাইট আনার মাধ্যমে অটো ভিজিটর বাড়াতে পারেন। তাহলে আপনার আর অন্য কিছু চিন্তা ভাবনা করতে হবে না।
যদি আপনি ওয়েবসাইট ট্রাফিক আনার কৌশল আয়ত্ত করে নিতে পারেন তাহলে আপনার মোট জবের অর্ধেকাংশ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এমন অনেক মার্কেটিং পদ্ধতি আছে যেগুলো ব্যবহার করে ই কমার্স ওয়েবসাইটে টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু এর জন্য আপনাকে এই মেথড গুলো কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
এফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে ভালো উপায় গুলোর মধ্যে একটি, যার মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স সাইটের সকল প্রোডাক্ট বা পণ্য আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্যদেরকে ব্যবহার করে বিক্রি করাতে পারবেন। যার একটি লাভ অই ইউজারদেরকে অবশ্যই দিতে হবে, যারা আপনার পণ্যের প্রমোট করবে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ অথবা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যারা আপনার পণ্যের প্রমোট করবে এবং ট্রাফিক ভিজিটর আনতে সহায়তা করবে। অথবা আপনি যে নিজস্ব ব্যক্তি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন আপনার পন্যের বা ওয়েবসাইট পণ্যের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি আপনার পণ্যের প্রমোট করতে পারেন। অথবা নিজস্ব ভালো ফেসবুক, ওয়েবসাইট থাকলে সেখানেও প্রমোট করতে পারেন। এর মাধ্যমে যখনই আপনার পণ্যে ক্লিক করবে, যখন আগ্রহী হবে তখন আপনি সেটাকে আপনার লাভ নিতে পারেন।
আবার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের নিজস্ব এফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম থাকে। এ সাইটে থাকা ইউজাররা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবে। এটা হতে পারে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অথবা প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য। এতে দেখা যায় সে ই- কমার্স সাইটের বাড়তি লাভ হয়।
এমন যদি হয় যে আপনার ই-কমার্স সাইটের যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং খ্যাতি আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের রিভিউ এবং সেখানে যেকোনো রেগুলার পণ্যের মূল্য ই কমার্স সাইট থেকে সহজে জানা যায় তাহলে সেটি হবে আপনার অনলাইনে আয় করার অন্য আরেকটি মাধ্যম। যেমনঃ কিছু ক্ষেত্রে আপনি সেখানে এড প্রদর্শনীর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন যেখানে আপনি আপনার এড এ ক্লিক করলে সাথে সাথে পেমেন্ট পাবেন। আবার যদি ব্লগিং করা শুরু করেন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে, তাহলে প্রতি পেজ এর উপর নির্ভর করে প্রতি ডলার আপনাকে দেয়া হবে। যেমনঃ ১,০০,০০০ পেজের উপর নির্ভর করে মাসিক ১০০ ডলার পেমেন্ট দেয়া হয়।
PPC Advertising:
পিপিসি এডভার্টাইজিং এর কথা ভাবলে গুগল এডসেন্স সবার আগে। কেননা এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের এড হিসেবে দিতে পারেন এর জন্য এই নেটওয়ার্কে (Google Adsense) প্রথমে আপনাকে অবশ্যই সাইনআপ করে নিতে হবে। যদি এই নেটওয়ার্কে আপনি পেইড পার ক্লিক অ্যাড হিসেবে যোগদান দেন তাহলে অবশ্য প্রতিটি অ্যাড এ ক্লিক করার জন্য আপনাদের নিজস্ব টাকা আয় হবে এবং আপনার ই-কমার্স সাইটের অনেক বেশি লাভ হবে। আবার যদি চান নিজের সাইট প্রমোট করতে তাহলে এই সাইটের সাথে ডিল করতে পারেন, এটি এডের মাধ্যমে ওয়ার্লড ওয়াইড প্রমোট করবে।
মনে রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের সফলতা তখনই আসবে যখন আপনার ভিজিটর বা ট্রাফিক ঠিক থাকবে এবং সেই মোতাবেক আপনার যত বেশি পেজ ভিউ হবে আপনার আর তত বেশি আয় হবে। এখন ধরুন আপনার ভিজিটর বেশি আপনার ওয়েবসাইটটি যথেষ্ট সমৃদ্ধ তাহলে আপনি আরও নানা পদ্ধতিতে টাকায় করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে গুলোর মধ্যে আছেঃ
Banner Advertising:
ব্যানার এডভার্টাইজিং বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয়। যেমনটা আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট এ কোন ব্লগ বা কোন প্রোডাক্ট রিভিও করবেন তখন সেখানে যে স্পেস থাকে সে পেজগুলোতে ব্যানার এড প্রদর্শন করতে পারেন। প্রতিটি ব্যানারে এডে ভিও ও ক্লিকের উপর নির্ভর করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন, যেটা আপনি চাইলে গুগল এডসেন্স এর মত সাইট থেকেও নিতে পারবেন। আবার নিজস্ব কোন এড দেয়ার থাকলে অথবা অন্য কোন কোম্পানির ডিল করলেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট স্পেসে দিতে পারেন এড!
https://bangla-bnb.saturnwp.link/online-tutoring/
নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রয়:
আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট স্টোরে নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। সেই প্রোডাক্টের মূল্য নির্ভর করবে গ্রাহকদের চাহিদার উপর।
এমনকি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে ভিন্নমাত্রিক ওয়েবসাইটে পরিণত করতে চান, যেখানে জরিপ পূরণ, থার্ড পার্টি অফারের সুবিধা করে দিতে পারেন। লোকজন এসে আপনার ওয়েবসাইটে যখন জরিপ পূরণ করবে সেখান থেকে বিভিন্ন third-party অফার এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।