দেশের মাটিতে শেষ হয়েছে মারুফা-জ্যোতিদের প্রস্তুতি পর্ব। এবার আরব আমিরাতে উড়াল দেবার পালা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিশ্বকাপের বলয়ে ঢুকে যাচ্ছেন তারা। তার আগে আজ ক্রিকেটাররা জানিয়ে গেলেন বিশ্বকাপ ঘিরে তাদের স্বপ্নের কথা।
৩ অক্টোবর শারজায় পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার সকালে দেশ ছাড়বে নারী ক্রিকেটাররা। দেশ ছাড়ার আগে আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
উড়াল দেবার আগে জ্যোতি জানিয়েছেন, এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে চায় তার দল। অবশ্য বাস্তবতাও জানেন তিনি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাদ দিলে এখন পর্যন্ত আর কোনো আসরে জয়ের দেখা পায়নি টাইগ্রেসরা।
সবার আগে তাই জয়ের আক্ষেপটাই মেটাতে চান জ্যোতি। পরের লক্ষ্য সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। বলেন, ‘প্রথমত একটা ম্যাচ জিততে চাই। ২০১৪ ছাড়া একটা বিশ্বকাপেও আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। ভালো খেলার কোনো মানে নাই, যদি ম্যাচ জিততে না পারেন।’
এরপর জ্যোতি যোগ করেন, ‘প্রথমত চাই ম্যাচ জিততে। এরপর যখন আমরা ফ্লো পাব, আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দল, অবশ্যই সেমিফাইনাল খেলার মতো। কে না চায় সেমিফাইনাল খেলতে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেভাবেই।’
‘আমাদের ক্রিকেটটা যদি এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। যারা বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলে, বা যে মেয়েরা দেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’
উল্লেখ্য, এবারের নারী বিশ্বকাপের স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। তবে আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আইসিসি। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতে গড়াচ্ছে এবারের আসর। ফলে ঘরের মাঠে আর খেলা হচ্ছে না জ্যোতিদের।
বাংলাদেশ থেকে আসর চলে যাওয়ায় হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। তবে দেশের বর্তমান আবহাওয়ার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছুটা মিল থাকায় সুবিধা পাবে বাংলাদেশ; দাবি টাইগ্রেসসহ অধিনায়ক নাহিদা আক্তারের।
তিনি বলেন, ‘ওইখানকার উইকেট আমাদের মতোই হয়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের দুটো ফ্লাড লাইটের নিচে অনুশীলন হয়েছে, চেষ্টা করব সেটা কাজে লাগানোর।’