মোবাইল রিচার্জের থেকেও কম খরচে সারা মাস মোটরবাইক চালানো যাবে। বাজারে এল নতুন ইলেকট্রিক বাইক। খরচ গুণতে গিয়ে নতুন মোটরবাইকের খুশি কোথায় যেন মিলিয়ে যায়।
তবে ইলেকট্রিক বাইক এই খরচ অনেকটাই কমাবে বলে দাবি করেছে বর্তমান সংস্থাগুলি। বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ই-বাইকের সংখ্যা। স্পোর্টস, রোডস্টার, ক্রুজার ইত্যাদি একাধিক ডিজাইনের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চ হয়ে চলেছে দেশে।
স্কুটারের পরিবর্তে শক্তপোক্ত বিল্ড কোয়ালিটির ইলেকট্রিক বাইকের দিকে ঝুঁকছেন বহু মানুষ। আজকে যে ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেলটির কথা বলব তার ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়। তেলের ঝক্কি থেকে যেমন রেহাই মিলবে তেমনই সাদামাটা লুকের কারণে পিছু-পা হতে হবে না।
এই ই-বাইকের নাম Cyborg Armour। ত্রুজার ডিজাইনের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল এটি। ভারতের বাজারে এই মুহূর্তে ক্রজার ইলেকট্রিক বাইক খুব একটা নেই। এই বাইকের অন্যতম চমকগুলির মধ্যে রয়েছে এর ফিচার্স এবং রানিং কস্ট।
Cyborg Armour ইলেকট্রিক বাইকে রয়েছে মাসকুলার ডিজাইনের ফুয়েল ট্যাংক (যেখানে মিলবে ব্যাটারি) যা হারলে-ডেভিডসন এবং রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলিতে দেখা যায়। এ ছাড়া রয়েছে LED হেডল্যাম্প, LED টেল লাইট, ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল। এটিকে ত্রুজার বলার আরও একটি কারণ হল বাইকের ফুটরেস্ট রয়েছে সামনের দিকে।
রাস্তাঘাটে বাইক যাতে ভালো ভাবে গ্রিপ হয় তার জন্য রয়েছে 17 ইঞ্চি চওড়া টায়ার। এ ছাড়া মিলবে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, USB চার্জার, ক্রুজ কন্ট্রোল, রিভার্স মোড, পার্কিং মোড ইত্যাদি। বাইকে ব্যাটারি রয়েছে 3.24 kwh রিমুভেবেল ব্যাটারি প্যাক।
সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এই ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় 3 থেকে 4 ঘণ্টা। যদিও এই বাইকের একটি ভেরিয়েন্ট ও রং-ই বাজারে ছেড়েছে সংস্থা। কেবল কালো রংয়েই কেনা যাবে এই ইলেকট্রিক ত্রুজার বাইক। এখানেই শেষ নয়, পেট্রল বাইকে যেখানে 100 টাকা তেল ভরে সর্বোচ্চ 40 থেকে 50 কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। সেখানে এই বাইক ফুল চার্জে রেঞ্জ দেয় 150 কিমি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, Cyborg Armour বাইক 3 বছর চালানোর জন্য 6,220 টাকা খরচ হবে। যদি কেউ প্রতি মাসে 1,000 কিলোমিটার করে 3 বছর এই বাইকে চালায় তাহলে এই টাকা খরচ করতে হবে। সেই হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে এই বাইক চালাতে খরচ পড়বে 172 টাকা।
বাজার এই বাইকের এক্স-শোরুম দাম 1.85 লাখ টাকা। ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে Cyborg Armour এর প্রতিদ্বন্দ্বী Komaki Ranger এবং জ্বালানি চালিত বাইকের ক্ষেত্রে Royal Enfield Classic এবং Royal Enfield Hunter।