বাঙালির সঙ্গে মাছের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। মাছ ভালোবাসেন না এমন বাঙালি হাতে গোনা। খাবারে কিংবা নাস্তায় মাছের নানা পদের সাথে চপ, ফিঙ্গার্স, ফিশফ্রাই— না থাকলেই নয়।
প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হল মাছ। যা সহজেই পাওয়া যায়। এ ছাড়া, মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের সামগ্রিক মান উন্নত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, নিয়মিত মাছ খেলে চুল, ত্বকের উজ্জ্বলতা হয় চোখে পড়ার মতো।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এত উপকার থাকা সত্ত্বেও মাছ কিন্তু সময় বিশেষে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে মাছ খেলে শরীরের উপকার তো হয়ই না, উল্টে বিপদ বেড়ে যায়।
১) দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই বা দুধ থেকে তৈরি খাবারের সঙ্গে মাছ খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থাকলে, তা আরও বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। মাছের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং দুধের ক্যালশিয়াম— এই দুই উপাদানের সংঘাতে পেটের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
২) সাইট্রাস জাতীয় ফল
লেমন ফিশ, লেমন বাটার ফিশ খেতে ভাল লাগলেও একই ভাবে মাছের প্রোটিন এবং লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি-র যুগলবন্দি পেটের মধ্যে গোলমাল ঘটাতেই পারে।
৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার
মাছের সব গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যদি তার সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন। কারণ, প্রক্রিয়াজাত খাবারে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা অনেক বেশি। নিয়মিত খেতে থাকলে হার্টের সমস্যা হতে বাধ্য।
৪) স্টার্চজাতীয় খাবার
মাছের ঝোলে আলু থাকবে না, তা কী করে হয়? তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্টার্চ বা শর্করার পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন খাবার মাছের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। তাতে হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই পাস্তা কিংবা নুডল্সের সঙ্গে গার্লিক ফিশও নয়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/electracity-bill/
৫) কফি
শীতে সন্ধ্যায় গরম কফির কাপে চুমুক দেবেন সঙ্গে থাকবে ফিশ-ফিঙ্গার কিংবা ফিশ অ্যান্ড চিপ্স? সে গুড়ে বালি। অনেকেরই ধারণা, মাছের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান শোষণে বাধা দেয় ক্যাফেইন জাতীয় যে কোনও পানীয়। তাই মাছের সঙ্গে কফি না খাওয়াই ভাল।