সাধারণ জ্ঞান এমন একটা বিষয় যার নির্দিষ্ট কোন সীমা নাই। এর মাধ্যমে আপনি দেশ-বিদেশের নানান তথ্য জানতে পারবেন। এটি আপনার জ্ঞানের ভান্ডারকে বাড়িয়ে তুলবে। এমনকি যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রেও সাধারণ জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে তেমনি কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসা হয়েছে।
১) প্রশ্নঃ কোন সাপ দংশন করলে শরীরের সমস্ত ছিদ্র থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে?
উত্তরঃ বুমস্ল্যাং সাপ (Boomslang Snake) কামড়ালে শরীরের সমস্ত ছিদ্র থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে আর এটি আফ্রিকা দেশে পাওয়া যায়।
২) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রেল স্টেশনের সবচেয়ে বেশি প্লাটফর্ম দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা ২৩টি।
৩) প্রশ্নঃ ভারতের কোথায় ‘ভারত মাতার’ মন্দির রয়েছে?
উত্তরঃ ভারত মাতা মন্দির (Bharat Mata Mandir) ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাসে অবস্থিত।
৪) প্রশ্নঃ কোন দেশের মেয়েরা দিনের মধ্যে প্রায় ৩০ বার নিজের গালে থাপ্পর মারে?
উত্তরঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা দিনে প্রায় ৩০ বার নিজের গালে থাপ্পড় মারে। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ‘স্লাপ থেরাপি’ (Slap Therapy) বলা হয়।
৫) প্রশ্নঃ একটি সিগারেট জীবনের কত মিনিট আয়ু কমিয়ে দেয়?
উত্তরঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সিগারেট খেলে জীবনের প্রায় ১১ মিনিট আয়ু কমে যায়।
৬) প্রশ্নঃ কোন জলপ্রপাতের জল নিচে নামে না, বরং উপরে উঠে যায়?
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রের নানেঘাট জলপ্রপাতে (Naneghat Falls) এমনই অলৌকিক দৃশ্য দেখা যায়।
৭) প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোন দেশে একটিও বন জঙ্গল নেই?
উত্তরঃ কাতার (Qatar) দেশে গাছপালার সংখ্যা খুবই কম, তাই বনভূমিও সেখানে গড়ে ওঠেনি।
৮) প্রশ্নঃ কোন ফুল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে?
উত্তরঃ সূর্যমুখী ফুল।
৯) প্রশ্নঃ কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) চুরি হয়ে যায়?
উত্তরঃ ২০০৪ সালে।
১০) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রাজ্যের মহিলাদের স্তন (Breasts) ঢেকে রাখলে ট্যাক্স দিতে হতো?
উত্তরঃ ১৯ শতকে কেরালা রাজ্যে (Kerala) ত্রাভাঙ্কোরের শাসক মহিলাদের স্তন ঢেকে রাখার জন্য একটি বর্বরচিত আইন প্রয়োগ করে। যারা স্তন ঢেকে রাখত তাদের ট্যাক্স দিতে হতো। বিশেষ করে গরিব মেয়েরা এই ফাঁদে পড়তো আর যারা ট্যাক্স দিতে পারতো না, তাদের স্তন কেটে ফেলা হতো। তবে দীর্ঘদিন প্রতিবাদ করায় এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।