ঘাড়ে ও গলায় বিভিন্ন কারণে দাগ পড়তে পারে। রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করলে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির কারণে গলা ও ঘাড়ে দাগ পড়তে পারে। আবার অনেকের স্থূলতার কারণেও ঘাড় ও গলায় ভাঁজ পড়তে দেখা যায়। এই ভাঁজ থেকেও কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
বাইরে বের হলে মুখ ও হাতের সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়েও রোদ ও পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। আয়নায় শুধু মুখের ক্ষতিটাই চোখে পড়ে। অগোচরে থেকে যায় ঘাড়। নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয় না বলে ঘাড়ে কালো দাগ পড়তে শুরু করে। অনেকের মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও ঘাড়ে দাগ হতে পারে। মুক্তি পেতে নিয়মিত ঘাড়ের যত্ন নিতে হবে। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার কোনো একটি প্যাক ঘাড়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
আলুর রস
আলুর রস ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখে। আলু কুচি অথবা আলুর রস ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ঘাড়ের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
শসার রস
শসার রস কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। শসার রস ত্বকের হারানো রং ফিরে পেতেও সহায়তা করে। ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বক করে উজ্জ্বল ও সুন্দর। শসা মিহি কুচি করে নিন অথবা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ঘাড়ের কালো দাগের ওপর কয়েক মিনিট ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস
এক টুকরা লেবুর সঙ্গে চিনি লাগিয়ে ঘাড়ে ও গলায় কালো জায়গায় আলতো করে ঘষুন। কিছুক্ষণ রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহারে যেকোনো কালো দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়। একনাগাড়ে দুই সপ্তাহ করলে ঘাড়ের কালো দাগও কমে যাবে।
গোলাপজল
লেবুর রস ও গোলাপজল ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সমপরিমাণ লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে ঘাড়ের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এক মাস ব্যবহারে পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।