ব্রণ যদি হয়েই যায় তাহলে তা দূর করতে ঘরোয়া উপাদানেই কিন্তু রূপচর্চা সেরে নিতে পারেন। ত্বকে ব্রণের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী যারা তারা। ত্বকের ধরন যেমনই হোক ব্রণ হতে পারে যেকোনো সময়ই। ত্বক পরিষ্কার না করা হলে, অপর্যাপ্ত ঘুম, তেল কিংবা ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেলে ইত্যাদি নানা কারণেই ত্বকে ব্রণের দেখা মেলে।
তাই এসব বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। তবে ব্রণ যদি হয়েই যায় তাহলে তা দূর করতে ঘরোয়া উপাদানেই কিন্তু রূপচর্চা সেরে নিতে পারেন। জেনে নিন সেসব-
পাকা পেঁপে চটকে নিন (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজনমতো চালের গুঁড়া।
মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস। ব্রণের পরিমাণ অনেক বেশি হলে পাতিলেবুর রস দিনে দুই-তিনবার ব্রণের জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিমপাতা খুব ভালো জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/fridge-a-shiddo-deem/
পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। তাজা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন। লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে এটি খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়া করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।