এবার বিশ্বের দ্রুততম পাখি হামিংবার্ডের ওড়ার কৌশল উন্মোচন করার দাবি করেছেন একদল গবেষক। হামিংবার্ড কেনো মৌমাছির মতো ওড়াওড়ি করে তার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ওড়ার সময় হামিংবার্ড ডানা ভাঁজ করতে পারে না। তাই একপাশ হয়ে ও বুলেটের গতিতে ছুটে চলার মতো দুটি কৌশল কাজে লাগায়। তবে সব রহস্য এখনো উন্মোচন করা যায়নি। কেনো না ঘন ঝোপঝাঁড়ের মধ্য দিয়ে হামিংবার্ডের চলাচল কৌশল এখনো উন্মোচন করতে পারেননি গবেষকরা।
উচ্চগতির ক্যামেরার ব্যবহার করে হামিংবার্ডের ওড়ার কৌশল বিশ্লেষণের করে গবেষকরা। তাতে দেখা যায়, হামিংবার্ড খুবই সরু জায়গা দিয়ে উড়ে যেতে পারে। খানিকটা একপাশ হয়ে সরু জায়গার মাঝখানের খালি জায়গা দিয়ে উড়ে যায় এই পাখি। এরা দ্রুত ওড়ার সময় নিজেদের ডানা পেছনে ভাঁজ করে রাখে। এই কাণ্ড এতো দ্রুত ঘটায় হামিংবার্ড, যা সাধারণত মানুষের অবলোকন করতে পারেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের গবেষক মার্ক ব্যাজার বলেন, ‘আমার জানালা থেকে হামিংবার্ড দেখা যায়। জানালা দিয়ে প্রতিদিন এই পাখি কীভাবে ওড়ে, তা দেখার সময় গবেষণার কথা মাথায় আসে। শক্তিশালী পাখিরা হামিংবার্ডকে তাড়া করে মাঝেমধ্যেই, তখন হামিংবার্ডগুলো ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। তাদের এই চলে যাওয়ার কৌশল অবাক করার মতো। দেখে মনে হবে আক্ষরিকভাবে হামিংবার্ড ঝোপের দেয়াল ভেদ করে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে।’
https://bangla-bnb.saturnwp.link/google-photos/
চারটি অ্যানাস হামিংবার্ডের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়। উত্তর আমেরিকায় হামিংবার্ডের যত প্রজাতি পাওয়া যায়, তার মধ্যে অ্যানাস অন্যতম। এই পাখিদের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যালিপ্টে অ্যানা। এদের ডানার আকার প্রায় ১২ সেন্টিমিটার এবং ওজন সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম।