ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন গত জুন মাসে। আগস্টে সেই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন তিনি। এরপর দরকার ছিল ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতি। তিন সপ্তাহ অপেক্ষার পর সেই প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে ইংল্যান্ড এফএ’র অনুমতিপত্র হাতে পেয়েছে বাফুফে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, আমরা এফএ’র অনুমতি পেয়েছি। এখন হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করবো’।
পাসপোর্ট, ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র চিঠিসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে এই আবেদন করবে বাফুফে। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সবুজ সংকেত দিলেই লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন এই বৃটিশ ফুটবলার। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি খেলোয়াড় এ দেশের জাতীয় দলে খেলার ঘটনা নতুন নয়। জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীরা তো জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্যই হয়ে গেছেন। জামাল এখন অধিনায়কও। তবে হামজাকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ বা আলোচনার কারণ ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছেন, এমন কেউ আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলেনি।
২৬ বছর বয়সী হামজা বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটিতে খেলছেন, ক্লাবের অধিনায়কত্ব করেছেন, জিতেছেন এফএ কাপও। খেলেছেন ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লীগ ও এর পরের ধাপ কনফারেন্স লীগেও। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো ফুটবলারই এর আগে এ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেননি।