ভারতের হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের রায় যাবে বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পক্ষে—সোমবার এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খড়গে বলেন, ‘হরিয়ানায় কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে। জম্মু ও কাশ্মীরেও ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং অন্য সহযোগীদের নিয়ে আমরাই সরকার গড়ব।
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, লোকসভা ভোটের পর প্রথম নির্বাচনে দুই বিধানসভাতেই বিজেপির হারের পূর্বাভাস রয়েছে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায়। প্রায় সব কটি বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, ৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ৪৬ ছুঁয়ে ফেলবে কংগ্রেস। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।
সেখানে ৯০ আসনে সরাসরি ভোট হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উপরাজ্যপালের (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) হাতে রয়েছে পাঁচজন অনির্বাচিত বিধায়ক মনোনীত করার ক্ষমতা।
নতুন বিধি অনুযায়ী, কাশ্মীরি পণ্ডিত পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকেই ওই পাঁচ বিধায়ককে নিয়োগ করা হবে।
তবে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (পিডিপি) বিভিন্ন বিরোধী দলের আশঙ্কা, সরকার গঠনের আগেই অমিত শাহের মন্ত্রণালয়ের ‘বার্তা’ মেনে উপরাজ্যপাল মনোজ সিং বিজেপি ঘনিষ্ঠ পাঁচ ব্যক্তিকে বিধায়ক মনোনীত করে জনগণের রায় পাল্টে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারেন।
ইতিমধ্যে ‘ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে উপরাজ্যপালকে সরকার গড়ার আগে পাঁচ বিধায়ক মনোনীত না করার অনুরোধ জানানোও হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে দিল্লি পৌরসভায় বোর্ড গঠনের আগে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করেছিলেন উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালত জানান, ওই অল্ডারম্যানরা মেয়র নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে এনসিপ্রধান তথা জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা সোমবার জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিডিপির সঙ্গে ভোট-পরবর্তী জোট করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস, সিপিএম ও প্যান্থারস পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করেছে ফারুকের দল। অন্যদিকে পিডিপি একক শক্তিতেই লড়াই করেছে।