বিভিন্ন কারণে ভ্রমণে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারে পাসপোর্ট। ঘাবড়ে না গিয়ে পদ্ধতি মেনে কাজ করলে সেটা ফেরত পাওয়া যাবে।
যা করতে হবে :
* প্রথমে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করুন। এরপর যোগাযোগ করুন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে।
* কোনো ট্যুর অপারেটর বা ট্রাভেল এজেন্সির সহায়তায় ভ্রমণে গেলে সেই এজেন্সি বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে।
* বাংলাদেশের দূতাবাসে জমা দিতে হবে হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি, কয়েক কপি ছবি, জিডির কপি, সি ফরম ও একটি দরখাস্ত।
* পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে মর্মে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করার জন্য মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর আবেদন করতে হবে। এসব জমা দিতে হবে নির্ধারিত ফি দিয়ে। এরপর আপনি পাবেন ট্রাভেল পারমিট।
* এক্সিট পারমিট নিতে হবে ভারতে অবস্থিত ফরেন রিজিওনাল রেজিস্টার অফিস (এফআরআরও) থেকে। এ জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দরকার হবে হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি, কয়েক কপি ছবি, জিডি কপি ও সি ফরম। সি ফরম নিতে হবে ভ্রমণকারী যে হোটেলে থাকেন, সে হোটেল থেকে।
* জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে ২ হাজার রুপি জমা দিতে হবে। তবে দু-এক দিন সময় দিলে জমা দিতে হবে ১ হাজার রুপি।
পাসপোর্টের ফটোকপি না থাকলে
অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ তাঁর সব তথ্য বিবরণীই হারিয়ে ফেলেছেন। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে তাঁদের দেশে ফিরতে আগের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। যিনি প্রয়োজনীয় সবকিছু হারিয়ে ফেলবেন, তাঁকে ইমিগ্রেশন সার্টিফিকেট তুলতে হবে। কবে কোন রুট ধরে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তার প্রমাণপত্র দিতে হবে। যদি সড়কপথে (বেনাপোল-পেট্রাপোল) ভারতে ঢোকা হয়, তাহলে পেট্রাপোল অংশের ইমিগ্রেশনে গিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে পাসপোর্টসহ সব তথ্য হারিয়ে ফেলার বিষয়টি জানাতে হবে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সার্ভার দেখে পাসপোর্ট নম্বরসহ একটি সার্টিফিকেট দেবেন। সেটি ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন ভারতে ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশিরা।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/hridoyer-susthota/
বিদেশ সফরে গেলে সব সময় চেষ্টা করুন নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবধানে রাখতে। নানা কারণে বা দুর্ঘটনায় মূল্যবান পাসপোর্টটি হারিয়ে ফেলতে পারেন একজন ভ্রমণকারী। তাই পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরপরই সেটির বেশ কিছু ফটোকপি এবং স্ক্যান করে আপনার গুগল ড্রাইভ কিংবা মোবাইলে সেভ করে রাখুন।