একজন ব্যক্তির শারীরিক ভাষা তার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। কারো শারীরিক ভাষা বিশ্লেষণ করলে বলা যেতে পারে তার পেশাদার অঙ্গন কতোটা কার্যকর হতে পারে। চাকরির ইন্টারভিউর সময় একজন নিয়োগকারী সাধারণত অঙ্গভঙ্গি, আদব-কায়দা এসব বিষয়ে লক্ষ্য করে থাকেন। আপনি যদি নিজেকে খুব পরিশ্রমী এবং শান্ত ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি অতি দ্রুত দৃষ্টি আকর্ষণ করে ক্যারিয়ারে সফল অর্জন করতে পারবেন।
ইন্টারভিউতে আপনার আচারণ কেমন হবে সেই তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
প্রথম ১০ সেকেন্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
শুনে মনে হতে পারে ১০ সেকেন্ডে কি করে কাউকে বাছাই করা যায়। কিন্তু এই প্রথম কয়েক সেকেন্ডই বদলে দিতে পারে আপনার কর্মজীবন। ঠিক যে মুহূর্ত থেকে আপনি দরজা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন তখন থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সময় গণনা শুরু হয়ে যায়। রুমে ঢুকেই কখনো বসে পরবেন না। আস্তে করে দরজা খুলে রুমে ঢুকবেন এবং ধীরে দরজা লাগাবেন। শব্দ করে দরজা লাগালে আগেই একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এরপর নিয়োগকারী না বসতে বলা পর্যন্ত বসবেন না। তাই এই প্রথম ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি শক্তিশালী ছাপ তৈরি করুন কারণ সাক্ষাত্কারকারীরা খুব কমই এমন কাউকে নিয়োগ করেন যিনি শুরুতেই নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেন।
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন
প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বা নিজের সম্পর্কে কথা বলার সময় সর্বদা ইন্টারভিউয়ারের দিকে সরাসরি তাকান। আপনার চোখে আত্মবিশ্বাস রাখুন। এমনকি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার হলেও, সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকান। স্ক্রিনে অন্য কিছুর দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকুন। চোখ এড়িয়ে কথা বললে আত্মবিশ্বাসহীন মনে হবে। সরাসরি চোখে তাকিয়ে কথা বললে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মাঝে মাঝে মাথা নাড়ুন
মাঝে মাঝে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানানো আপনার শোনার দক্ষতাকে প্রদর্শন করে। মাথা নাড়ালে বোঝা যায় যে আপনি অন্য ব্যক্তির কথা শুনছেন। তবে এটি শুধুমাত্র মাঝে মাঝে করুন, সব সময় নয়। অন্যথায় এটি খারাপ ভাবে প্রতিফলিত হতে পারে।
হাত নাড়ুন আস্তে করে
আপনি যখন হাত ঘুরিয়ে কথা বলবেন তখন বোঝা যাবে যে আপনি সক্রিয় আছেন । আস্তে করে হাত নড়াচড়া করলে আপনার স্নায়ু শান্ত থাকবে এবং শ্রোতাকে আপনি যা বলছেন তা কিছুটা কল্পনা করতেও সহায়তা করবে। কথা বলার সময় হাতের তালু খোলা রাখুন কারণ। তাহলে মনে হবে আপনি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।
সোজা হয়ে বসুন
ইন্টারভিউয়ের সময় সবসময় সোজা হয়ে বসুন, আপনার কাঁধ পিছনে রাখুন এবং চিবুক উপরে রাখুন। ঝুঁকে বসা এড়িয়ে চলুন। ইন্টারভিউয়ারের দিকে মুখ করে বসুন যাতে সে বুঝতে পারে আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ তার দিকে।
হাসুন
ইন্টারভিউ দেবার সময় মুখে হাসি রাখতে ভুলবেন না। সব সময় হাসতে থাকবেন না। ইন্টারভিউয়ের শুরুতে এবং শেষে মুখে হাসি বজায় রাখুন। এটি ইতিবাচক কাজ করতে পারে। ইন্টারভিউ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ইন্টারভিউয়ারদের ধন্যবাদ জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না।