ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়ালো। সিলেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে গেল ১-০ তে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষের হিসেবই মেলাতে পারলো না বাংলাদেশ। শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩৩ রানের। খানিকবাদে সেই হিসেব আরো আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে আসে বাংলাদেশ নারী দল। জিততে তখন প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১৮ রান। হাতে জমা ৬ উইকেট। কিন্তু সেই ম্যাচের ১৯ নম্বর ওভারে বাংলাদেশ যে কোনো রানই তুলতে পারলো না! উল্টো হারালো দুটি উইকেট। পেসার অরলা প্রান্ডারগাষ্টের সেই ওভারেই মূলত ম্যাচ জিতে নিল আয়ারল্যান্ড।
৩৬ বলে ৬০ রান। হাতে বাকি ৭ উইকেট। টি-টোয়েন্টির জন্য এটি তেমন কঠিন কোনো টার্গেট নয়। তবে বাংলাদেশ নারী দলের কাছে সেটাই কঠিন হয়ে গেল। শেষের দিকে এসে রান ও বলের ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ঘোচাতে পারলো না বাংলাদেশ। থেমে গেল ১৫৭ রানে। আয়ারল্যান্ড ম্যাচ জিতলো ১২ রানে।
টসে জয়ী আয়ারল্যান্ড দুপুরে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ দাড় করায়। ওপেনার গ্যাবি লুইস ও মিডল-অর্ডারে লিহ পলের মারকুটো হাফসেঞ্চুরির সুবাদে এই বড় সঞ্চয় তুলে আয়ারল্যান্ড। লুইস ৪২ বলে ৭ বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৬০ রান করেন। পলের ব্যাট থেকে আসে দিনের সবচেয়ে এন্টারটেইনিং ইনিংস। ৪৫ বলে মারমার কাটকাট ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে পল অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। ১০ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হলো স্বপ্নের মতো। দুই ওপেনারই হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেললেন। দিলারা আক্তার করলেন ৪১ বলে ৪৯ রান। শোভহানা মুস্তারিরর ব্যাটে এলো ৪৬ রান। ১২ ওভারেই দুই ওপেনার স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ১০৩ রান। শেষের ৮ ওভারে ম্যাচ জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ৬৭ রান মাত্র। হাতে অক্ষত ৯ উইকেট। কিন্তু সেই হিসেব মেলাতে পারলো না বাকি দল। আইরিশদের ক্যাচ মিসের মহড়ার পরও থেমে গেল ১৫৭ রানে।