মহিলাদের মনের খবর রাখা খুবই কঠিন। তারপরও পুরুষেরা মহিলাদের হৃদয়ের অন্দরের খবর জানার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। তবে কিছুতেই সেই কাজটি উঠতে পারেন না। গোপনেই রয়ে যায় অমূল্য ধন।
মনে রাখবেন, মহিলারা বিয়ের বিষয়ে পুরুষের থেকেও বেশি সিরিয়াস। তাঁরা চার হাত এক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় ভেবে দেখেন। তাঁদের কিছু মাপকাঠি রয়েছে। এই মাপকাঠিতে সঠিক নম্বর পেলে তবেই সেই পুরুষকে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন মহিলারা।
মহিলাদের মনের পছন্দের খবর না পাওয়া গেলেও, তাঁরা কী কী অপছন্দ করেন, তা সহজেই বোঝা যায়। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা অনায়াসে বলে দিতে পারেন যে কেমন স্বভাবের পুরুষ নারীরা এক্কেবারে পছন্দ করেন না। এই হিসেবটা মাথায় রাখতে পারলেই দেখবেন অনায়াসে মহিলাদের মনে প্রবেশের পথ মিলছে। তাই আর দেরি করে লাভ নেই। বরং জেনে নেওয়া যাক, কেমন পুরুষকে বিয়ের জন্য অপছন্দ করেন মহিলারা। আপনি এই তালিকায় থাকলে দ্রুত নিজেকে শুধরে নিন।
১. নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন
কয়েকজন নেশা করার বিষয়টিকে একবারে ফ্যাশনের পর্যায়ে নিয়ে চলে যান। তাঁরা মনে করেন, নেশা করার বিষয়টিকে বুঝি মহিলারা সহজে মেনে নেন। তবে মশাই এখানেই বড় ভুল করে ফেলছেন। আপনার বোঝা দরকার যে, নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পুরুষকে একদমই পছন্দ করেন না নারীরা। বরং তাঁদের ভয় করে চলেন। তাই এই অভ্যাস বদলান। কিন্তু আপনার মনের মানুষ আপনাকে কোনও দিন তাঁর মনে জায়গা দেবেন না।
২. খারাপ সঙ্গ
সঙ্গ দোষ থাকলে জীবন বরবাদ হতে পারে। আপনি যেমন মানুষের সঙ্গে মেশেন, আপনার চরিত্র ঠিক তেমনভাবেই গঠিত হয়। আর এই কথাটা মহিলারা খুব ভালো করে জানেন। তাই তাঁরা এমন পুরুষকে বিয়ের জন্য এড়িয়ে চলেন যাঁর বন্ধুমহল খারাপ। তাই এখন থেকে নেশাভান, অসামাজিক কাজকর্ম করা ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। এটা আপনার জন্যও মঙ্গলকর।
৩. মেয়ে দেখলেই ঢলে পড়েন
কিছু পুরুষের সুন্দরী মেয়ে দেখলে মনের ঠিক ঠিকানা থাকে না। ফলে একই সময় অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মনে রাখবেন, এই ধরনের পুরুষের সঙ্গে প্রেম করলেও বিয়ের দিকে পা ফেলতে চান না মহিলারা। কারণ তাঁদের মনে এনাদের নিয়ে ভয় থাকে। বিয়ের পর যে তাঁদের মনের রসায়ন বদলে যাবে না, তা কে বলতে পারে! তাই একাধিক মহিলার সঙ্গে থাকার অভ্যাস আজই ছাড়ুন। তবেই কিন্তু আপনি যোগ্য পাত্রের তকমা পাবেন।
৪. দায়িত্বের কথা শুনলেই ছুমন্ত্রর…
কিছু পুরুষ গায়ে হাওয়া লাগানো পার্টি। তাঁরা সব ব্যাপারে বড় বড় মত দিতে ভালোবাসেন। তবে কাজেরবেলার লবডঙ্কা। এমনকী দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গ আসলেই তাঁরা ছুট লাগান। মনে রাখবেন, এনাদের থেকে মহিলারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন। যেই ব্যক্তি ছোটখাট বিষয় এড়িয়ে যান, তিনি কী ভাবে স্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন, এই কথাটা নারী মনে ঘুরতে থাকে।
৫. ফাঁকা পকেট
আপনি চায়ের ঠেকে বসে বা নদীর কিনারে জলরাশির দিকে চোখ রেখে প্রেম করতে পারেন। মনে হতে পারে, আর কিছুটা পথ হাঁটলেই হয়তো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জয় গোস্বামীর কবিতার নায়ক হয়ে উঠবেন। হয়তো প্রেম করার সময়ে এই ভাবনার কদর পাওয়া যায়। ফাঁকা পকেটে প্রেম করার একটা আলাদা মজা রয়েছে। তবে বিয়ে করার জন্য পকেটে পয়সা থাকা দরকার। ট্যাঁকে জোর না থাকলে কোনও মহিলাই বিয়ে করবেন না।