পৃথিবীতে এমন অজস্র রহস্যময় জিনিস রয়েছে যা সম্পর্কে মানুষ আজ পর্যন্ত জানতে পারেনি। এই প্রতিবেদনে এমনই একটি রহস্যময় নদী সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই রহস্যময় নদীটির নাম হল শানে টিম্পিশকা, যার আশেপাশে কারও পক্ষে আরামে বসে থাকা সম্ভব নয়। এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই রহস্যময় নদীটি প্রায় ২৫ মিটার চওড়া এবং ৬ মিটার গভীর। নদীর জল খুবই গরম হওয়ায় চারপাশে গরম বাষ্প ওঠার কারনে এখানে অনেক ছোট প্রাণীও নদীতে পড়ে মারা যায়। এর ফুটন্ত জল এতটাই গরম যে কেউ এক সেকেন্ডেরও কম সময় এই জল হাতে রাখলে গভীর ক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জানিয়ে রাখি ১৯৩০ সালের আগে এই রহস্যময় নদীর কথা কেউ জানতো না। আগ্নেয়গিরি কাছাকাছি এলাকায় এমনই একটি গরম জলের উৎস পাওয়া যায়। নদী থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূরে ‘অ্যামাজন বেসিন’ নামে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যে কারণে এই নদীর গরম জলের কারণ বোঝা যায় না।
বিজ্ঞানীদের মতে, এই নদীর তলদেশে খুব গভীরে কোন এক সময় নিশ্চয়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল যার ফলে নদীর তলদেশে একটি বড় ফাটল তৈরি হয়। এই ফাটল দিয়ে মাটির অভ্যন্তরে থাকা উত্তপ্ত লাভা প্রতিনিয়ত নদীর সংস্পর্শে আসে যে কারণে নদীর জল সবসময় ফুটতে থাকে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/fisher-sathe-khaben-na/
এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই নদীটিকে শানে টিম্পিশকা নামে ডাকে, যার অর্থ ‘সূর্যের তাপে ফুটন্ত নদী’। ২০১১ সালে এই নদীটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছিল।