শীতকাল আসছে। অনেকেরই শুরু হয়ে যাবে ঠোঁট ফাটার সমস্যা। ভেসলিন বা লিপবাম লাগিয়েও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পান না। এ সময় ঠোঁট কেন ফাটে আর প্রতিকারই বা কি জানালেন বিউটি ব্লগার নাহিন ইসলাম
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। এ সময় যেমন আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠে, তেমনই ঠোঁটের আর্দ্রতাও কমে যায়। ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে ফেটে যায়। অনেকের শুকনো ঠোঁট লাল হয়ে গিয়ে চুলকানি শুরু হয়। রুক্ষ ঠা-া আবহাওয়াই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া ঠোঁট ফাটার আরও কারণ হলো কড়া সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকা, অ্যালার্জি, থাইরয়েডের সমস্যা এবং শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবেও ঠোঁট ফাটে।
এ ছাড়া ঠোঁট চাটা, ঠোঁট কামড়ানোর মতো অভ্যাস থাকলেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। আবার অনেক সময় ঠোঁটে লাগানো লিপস্টিক, লিপবাম বা লিপজেল সহ্য না হলে চুলকানি হয়ে ঠোঁট ফাটতে পারে। অনেকের আবার সাইটাস জাতীয় ফল খেলে ঠোঁট ফেটে যায়।
ঠোঁট ফাটা এড়াতে ঠোঁট যাতে সব সময় ভেজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তার জন্য ঠোঁটে সব সময় ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখা জরুরি। সারা দিনই কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁটে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন। বাইরে বের হওয়ার আগে মুখের পাশাপাশি ঠোঁটেও সানস্ক্রিন দিন। দেখে নিন আপনার লিপবামে সূর্য থেকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো উপকরণ আছে কিনা। এর সঙ্গে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি না দেখা দেয়, তার জন্য বেশি করে পানি পান করুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0/
রাসায়নিক মিশ্রিত কসমেটিকস ঠোঁটে যতটা সম্ভব ব্যবহার করুন। ঠোঁটে লাগানোর প্রসাধনে ল্যানোলিন, স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপকরণ থাকে, এগুলো ঠোঁটের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ঠোঁটের যতেœ ঘরোয়া উপায়ে অ্যালোভেরার জেল লাগাতে পারেন। এ ছাড়া ঠোঁটে এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে রাখলেও ঠোঁট নরম থাকবে। মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগালেও ঠোঁট নরম থাকবে। চিনি ভালো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। তাই ঠোঁটের মৃত কোষ ঠোঁট থেকে তুলে ঠোঁটকে নরম করে তোলে। ঠোঁটে নারিকেল তেলে লাগালেও ঠোঁট নরম থাকবে।