চুল জৌলুস হারানোর অন্যতম ও প্রধান কারণ অপুষ্টি। চুল ঝলমলে, প্রাণবন্ত রাখতে কী কী করা যাবে না, তাই বলেছেন বিন্দিয়া বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি, লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন।
পুষ্টির অভাব
চুল জৌলুস হারানোর অন্যতম ও প্রধান কারণ অপুষ্টি। ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাংক ফুড, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের কারণে চুলের ক্ষতি হয়। এসব খাবার যত পরিহার করা যায় তত ভালো। চুলের জন্য উপকারী খাবার ডিম, ঢেঁড়স, সবজি, মাছ, মিষ্টি আলো, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, বাদাম, সয়াবিন ও বীজজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
যত্নের অভাব
বাইরের ধুলাবালি, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিয়মিত যত্ন নিলে চুল এসব ধকল কাটিয়ে উঠতে পারে। বাইরে গেলে চুল ঢেকে রাখা, বাসায় ফিরে চুল ধোয়া, নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করা, চুলের জন্য উপকারী প্যাক ব্যবহার করতে হবে। মাসে একবার পার্লারে গিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
বেশি প্রসাধনী ব্যবহার
দিন দিন আমাদের মধ্যে বেশি বেশি প্রসাধনী ব্যবহারের ঝোঁক বাড়ছে। জেল ব্যবহার, না বুঝে প্যাক লাগানো, বিভিন্ন ভিটামিনসহ নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। চুল বৃদ্ধি করা, লম্বা করা, শাইনি করা, কালো করা, চুল পড়া কমাতেও অনেক সময় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করতে দেখা যায়। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। জেনেবুঝে তবেই চুলে প্রসাধনী লাগানো উচিত। প্রয়োজনে হেয়ার এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।
চুল রং করা
চুলের রঙে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ধীরে ধীরে চুলকে নিস্তেজ ও রুক্ষ করে দেয়।রঙিন চুল এমনিতেই দুর্বল হয়ে থাকে। এ জন্য প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে না। চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। রং করা চুলের যত্ন ও প্রসাধনী স্বাভাবিক চুলের তুলনায় একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকে সেভাবে যত্ন নিতে পারে না। এটাও চুল নিষ্প্রাণ হওয়ার অন্যতম কারণ।
চুলের ধরন না বোঝা
চুল সতেজ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে চুলের ধরন বুঝে যত্ন নেওয়া জরুরি। অনেকেই চুলের ধরন না বুঝে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এতে চুলের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। একজন হেয়ার এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলে চুলের ধরন, প্রসাধনী এবং যত্নের দিকগুলো জেনে নিতে পারেন। বাজারে একেক চুলের জন্য একেক রকম শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ক্রিম, জেল, হেয়ার কালার পাওয়া যায়। এ জন্য চুলের ধরন বোঝাটা খুবই জরুরি।
চুল ভেজা রাখা
গোসলের পর চুল ভেজা রাখা যাবে না। গোসল শেষে চুল টাওয়েল দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। কাজের তাড়াহুড়ায় অনেক সময় ভেজা চুল বেঁধে বাইরে যান অনেকে। এতে চুল থেকে গন্ধ ছড়ায়। মাথার ত্বকে ফাঙ্গাস জন্ম নেয়। চুলের বন্ধন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে দ্রুত চুল নিস্তেজ ও অসাড় হয়ে যায়। রোদে চুল শুকানো যাবে না। ফ্যানের বাতাসে শুকাতে হবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/olosota-katanor-way/
গরম পানিতে চুল ধোয়া
শীতে গরম পানিতে গোসল করেন অনেকে। এতে সাময়িক আরামবোধ হলেও এর মন্দ দিকই বেশি। পানির তাপমাত্রা যদি খুব বেশি হয়, তা চুল ও ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। গরম পানিতে চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু করাও ঠিক নয়। এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল ক্ষরণ হয়। চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারের কারণেও চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।