অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তারা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা করছেন। রবিবার (১৭নভেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এর আগে ও পরে দেশ ত্যাগ করেন বিসিবির সভাপতিসহ অনেক পরিচালক। বিসিবির পাঁচটি সভায় সেসব পরিচালক উপস্থিত না থাকায় তাদের পদও বাতিল হয়েছে। ওই জায়গায় একজন বোর্ড সভাপতি ও অল্প সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দিয়ে বিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিষয়টি উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। যখন দায়িত্ব নিই , তখন বিসিবির লোকজনকে (সভাপতি, পরিচালক) খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে।’
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টি-২০ এই টুর্নামেন্ট ঘিরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। কাজগুলো করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বিসিবির পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই সংস্কার কাজ সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘স্টেডিয়ামগুলো সরকারে অধীনে। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব তাই সরকারের।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, বিসিবি, বাফুফেসহ সব ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রতি বছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ফেডারেশনগুলোকে। অনেক ফেডারেশনের ঋণের বোঝাও টানতে হচ্ছে সরকারের। তবে বিসিবি, বাফুফেসহ কিছু ফেডারেশনে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।