ধুলোময়লা, ঘামের হাত থেকে বালিশ পরিষ্কার রাখতে চেইন সিস্টেমের বালিশের কভার ব্যবহার করা ভালো। ময়লা কম হবে। অন্যথায় বালিশে দুটো কভার ব্যবহার করলেও চলবে। সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার বদলে ধোয়া এবং পরিষ্কার কভার লাগিয়ে নিন। মাথায় খুশকি হলে চুলের সঙ্গে বালিশও পরিষ্কার রাখতে হবে। যেদিনই শ্যাম্পু করবেন সেদিন বালিশের কভারও বদলে ফেলুন। নিত্যদিনের ব্যবহারের বালিশের জন্য সুতির কভার বেছে নিন। মাসে অন্তত একবার বালিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। অনেকের ঘুমে সারা রাত বালিশ ঘামে ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে ড্রায়ারে ৫-১০ মিনিট লো হিট তাপমাত্রায় বালিশ শুকিয়ে নিন। সপ্তাহান্তে বালিশ রোদে দিন।
বালিশ নরম থাকবে। ৩-৪ বছর পরপর লেপ-তোশকের দোকানে নিয়ে বালিশের তুলা বদলে নিন। বালিশের কভার ধোয়ার পর ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। বাচ্চাদের বালিশের কভার পরিষ্কারে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসপেটিক লিকুইড দিয়ে নিন। বছরের পর বছর একই বালিশ ব্যবহার করবেন না। এতে বালিশের তুলা শক্ত ও শেপ খারাপ হয়ে যায়। ফলে ঘাড়ব্যথাও অবারিত। ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা বোঝার জন্য বালিশ দুই পাশ থেকে ধরে ভাঁজ করে ছেড়ে দিন। বালিশ আগের শেপে ফিরে এলে তা ব্যবহারের উপযুক্ত। না হলে নতুন বালিশ বানিয়ে নিন। বালিশ স্টোর করতে প্লাস্টিকের ব্যাগে পুরে আলমারিতে স্টোর করুন।
কুশনের যত্ন
বিছানায় বা সোফায় রঙিন কুশন সাজিয়ে রাখলে দেখতে ভালো লাগে। তবে যাচ্ছেতাই কুশন ফেলে রাখলে অচিরেই ময়লা হয়ে যাবে। একসঙ্গে অনেক কুশন চেপে জড়ো করে রাখবেন না। কুশনের ভাঁজ কমে যায়। এ জন্য দুই-তিন সেটে কুশন কিনে রাখতে পারেন। মাঝেমধ্যে বদলে নিন। সব সময় ফোমের কুশন ব্যবহার করুন। বালিশের মতো কুশনের তুলাও মাঝে মাঝে বদলে ফেলুন। কুশনের শেপ কমে গেলে বাড়তি তুলা ভরে নিন। তবে ঘুমানোর জন্য কুশন ব্যবহার করবেন না। কুশন কভারে ভারী কাজ হলে ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিন।
কুশন পশমের হলে ড্রাই ক্লিন করুন। তবে, ভ্রাকুয়াম ক্লিন করাবেন না। প্রিন্টেড কুশন কভারগুলো বাড়িতেই পরিষ্কার করে নিন। আর হ্যাঁ, চেইন সিস্টেমের কুশনের থেকে বোতাম সিস্টেমের কুশন ভালো।