দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি বিষয়। KPop, খাওয়াদাওয়া, ফ্যাশান, রূপচর্চা- সবেতেই বিশ্বের নজর কাড়েন তাঁরা। তাঁদের সামগ্রিক সংস্কৃতি, জীবনযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে কোরিয়ানদের রূপের রহস্য।
সুন্দর ত্বক নিয়ে আলোচনা হবে, আর কোরিয়ান মহিলাদের ত্বকের প্রসঙ্গ উঠবে না? আসলেই কোরিয়াই এই বিশ্বের মহিলাকুলের হাতে বিবি ক্রিম, শীট মাস্ক এবং ডার্মা রোলারের মতো অস্ত্র তুলে দিয়েছে। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে তাই কোরিয়ান রূপচর্চা নিয়ে না বললেই নয়। তাঁদের নিখুঁত ত্বক যেন চিনামাটিকেও হার মানায়। আর সেই কারণেই তাঁদের ত্বককে বলা হয় ‘পোর্সেলিন স্কিন’। তাঁদের স্কিন কেয়ার এবং মেকআপের রহস্য সবাই জানতে চান। ঠিক কী করলে এমন কাঁচের মতো ত্বক পাওয়া সম্ভব।
রোজ রূপচর্চা : উঠল বাই তো কটক যাই- এমন ভাবনায় চললে হবে না। প্রতিদিন, নিয়ম করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে ত্বকের পরিচর্যার জন্য। এর মধ্যে সাধারণ ক্লেনজিং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজিং তো আছেই। এর পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে এর জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ রাখতে হবে। সপ্তাহে ১-২ দিন স্ক্রাবিং করুন।
প্রচুর জল পান : এক কাজ করুন। আগামী ১০ দিন নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। কথা দিচ্ছি, কয়েকদিন যেতেই ত্বকে পার্থক্যটা টের পাবেন। আসলে যতই ময়েশ্চরাইজার মাখুন, আপনি নিজে ডিহাইড্রেটেড হলে, তাতে কাজ হবে না। এর জন্য শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখুন।
প্রতিদিন ব্যায়াম : কোরিয়ান সমাজে অনেকেই তন্বী থাকতে পছন্দ করেন। নিয়মিত কার্ডিও, ওয়েট ট্রেনিং ইত্যাদি করেন তাঁরা। আপনি কি জানেন, ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত! এটি রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বক আরও সুন্দর দেখায়।
প্রসাধনী নিয়ে সমঝোতা নয় : কোনও অনামী নতুন প্রোডাক্ট নয়। প্রসাধনী সবসময়ে ভাল, দামী দেখেই কিনুন। এই নিয়ে একটুও আপোস করা চলবে না।
কোরিয়ান মেকআপ ট্রেন্ড : কোরিয়ানরা হালকা প্রাইমারের ভক্ত। ত্বকের আসল রঙটাই তুলে ধরতে চান তাঁরা। কোনও লাইট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হাইলাইট ব্যবহার করবেন না। ডে লুকে-র জন্য লিপস্টিক নিউড বা প্যাস্টেল শেডে রাখুন।
বিশেষ কিছু প্রোডাক্ট : কোরিয়ান বিউটি ভ্লগারদের কিছু প্রোডাক্ট প্রায়শই ব্যবহার করতে দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে- ভিটামিন সি সিরাম, ত্বকের ধরণ অনুযায়ী Sheet মাস্ক, পিম্পেল প্যাচ, ভাল মানের টোনার, স্ক্রাব। ফলে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
আত্মবিশ্বাসী থাকুন : সব শেষে বলি, যে দেশেরই মানুষ হোন না কেন, সুন্দর হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যে নজর দিন। নিজের যত্ন নিন।