নববর্ষের কবিতায় কিবা বলা যায় আর
যা হয়নি বলা শত সহস্রবার
নতুন বছর আসে, পুরানো বছর পিছু হটে
জানি মোরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি জানি বটে…
সেই ১৯১০ সালে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ কবিতায় এই কথাগুলো বলে গেছেন মার্কিন কবি এলা হুইলার উইলকক্স। যে কবিতার ভাবানুবাদ এমন, প্রত্যেকে কিছু স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছর শুরু করে। থাকে কিছু কর্ম পরিকল্পনা। আবার ফেলে যাওয়া বছরে, জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অভিজ্ঞতা নতুন বছরে কাজে লাগাতেও চায় সবাই। সে কারণেই, পুরনো হিসাব-নিকাশ সঙ্গে নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় সামনে তাকাতে চায় সবাই। ব্যতিক্রম নয় শোবিজ তারকারা। ২০২৪ সাল অনেকের ক্যারিয়ারে সুবাতাস বয়ে এনেছিলো, কেউ আবার ছিটকে পড়েছিলেন জীবনের জটিলতায়। নতুন বছরে যেন সবাই কাজ করতে চান নতুন উদ্যমে। তবে প্রত্যেকের ভাবনা আলাদা আলাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক দুই বাংলার শীর্ষ অভিনেত্রী জয়া আহসানের সাম্প্রতিক অতীত ও নিকট আগামীর গল্পটুকু-
ফিরে দেখা
২০২৪ সাল ছিল জয়া আহসানের জন্য আশীর্বাদের মতো। এ বছরই তিনি কাজ করেছেন বলিউডের সিনেমায়। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী নির্মিত থ্রিলার সিনেমা ‘কড়াক সিং’- এ তার বিপরীতে কাজ করেছেন বলিউডের গুণী অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। গত বছরে (২০২৪) দেশে মুক্তি পায় জয়া অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নূরুল আলম আতিক। এছাড়াও বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘নকশি কাঁথার জমিন’ মুক্তি পেয়েছে ডিসেম্বরে। এটি নির্মাণ করেছেন আকরাম খান। টলিউডেও ছিলো তার দৃপ্ত পদচারণা। বছরের শেষে দিকে অভিনয়ে অবদানের জন্য পেয়েছেন সিজেএফবি বিশেষ সম্মাননা।
পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা
নতুন বছরে আরও ভালো ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে চান এই অভিনেত্রী। জয়া নিজের জীবনে যেমন চান ইতিবাচক কাজ, তেমনি অন্যদের কথাও ভাবেন এই অভিনেত্রী। জয়া নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন পশু-পাখির কল্যাণ কামনা করে। সেইসাথে নতুন বছর উদযাপনের আনন্দ যেন অন্য কাউকে আঘাত না করে সে অনুরোধও জানিয়েছেন। একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জয়া সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, নতুন বছর উদযাপনে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো যেন বন্ধ থাকে। কারণ এতে পশু-পাখি, অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষ কষ্ট পান। অনেক পশু-পাখি মারা যায়। তাই তিনি সবাইকে পরিমিত থেকে নতুন বছর উদযাপন করতে বলেছেন।
রিলিজ হলো রোমান্সের দৃশ্যে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, দরজা বন্ধ করে দেখুন
জয়ার ভাষায়, ‘নতুন বছরে অবশ্যই আমরা আনন্দ করবো। কিন্তু আমাদের সেই আনন্দ যেন অন্যের মৃত্যুর কারণ না হয়। আমরা অনেক আতশবাজি বা পটকা ফাটাই, দয়া করে এটা করবেন না। আতশবাজির বিকট শব্দে রাতে গাছে ঘুমিয়ে থাকা পাখিরা হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকা কুকুর বা অন্যান্য বন্য প্রাণী ভয়ে ছুটোছুটি করে। অনেক প্রাণীই মারা যায়। অনেকের বাসায় অসুস্থ মানুষ থাকেন, তারা কষ্ট পান।’