২৩ বছর আগে ২০০০ সালে ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘কাহো না প্যায়ার’ দিয়ে বলিউডে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল ‘গ্রিক গড’ খ্যাত ঋত্বিক রোশনের। তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন আমিশা প্যাটেল। এই নায়িকারও প্রথম সিনেমা ছিল ‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’।
যদিও অনেকে জানেন না যে, এই সিনেমার প্রস্তাব প্রথমে গিয়েছিল কারিনা কাপুরের কাছে। তিনি নাকি চরিত্রটি করতে রাজি হননি। এ কথা কারিনা একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। তবে ২৩ বছরের মাথায় বোমা ফাটালেন আমিশা প্যাটেল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা দাবি করলেন, কারিনা কাপুর ‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছাড়েননি, বরং তাকে শুটিং সেট থেকে বের করে দিয়েছিলেন সিনেমার পরিচালক তথা হৃত্বিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশন।
আমিশার কথায়, ‘কারিনা মোটেও কাজটা ছেড়ে দেননি। আমি রাকেশজির থেকে যা শুনেছি তা হলো, তারা তাকে সিনেমা ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন। কারণ দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল।’
আমিশা এও দাবি করেন, ‘পিঙ্কি আন্টি (হৃতিকের মা) আমাকে বলেছেন, তারা চিন্তায় একপ্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন। কারণ সেটে কোটি কোটি ঢালা হয়েছে। হৃতিকের প্রথম ছবি। আর ওদের তিন দিনের মধ্যে সোনিয়াকে খুঁজে বের করতে হবে।’
নায়িকা বলেন, ‘এরপর এক বিয়েবাড়িতে রাকেশজি আমাকে দেখেন। শুনেছি সারা রাত উত্তেজনায় তিনি ঘুমাতে পারেননি। সারা রাত নাকি ভেবেছেন, পেয়েছি আমি আমার সোনিয়াকে পেয়েছি। দেখো ঠাকুর ও যেন হ্যাঁ করে। আমি যদিও ছবি সাইন করার সময় পেছনের এই গল্পগুলো জানতাম না।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশনও জানিয়েছিলেন, ‘কাহো না প্যয়ার হ্যায়’ থেকে কারিনাকে বাদ দেয়ার কারণ ছিলেন নায়িকার মা ববিতা কাপুর। তিনি নাকি মেয়ের সব ব্যাপারে নাক গলাতেন, এমনকি শুটিং সেটে গিয়েও।
যদিও ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেছিলেন, তিনি ‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় খুশি। কারণ বেশ কিছু দৃশ্যে আমিশার চোখের তলার কালি দেখা যাচ্ছিল। মুখের ব্রণও ফুটে উঠছিল স্ক্রিনে। তবে এই সিনেমা ছেড়ে দেয়ায় তার আর হৃত্বিকের সম্পর্কে কোনো খারাপ প্রভাব ফেলেনি। কারণ, পরবর্তীতে একাধিক সিনেমায় তারা একসঙ্গে কাজ করেন।
এদিকে, সাক্ষাৎকারে আমিশা আরও বলেন, ‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ ও ‘হামরাজ’-এর সিক্যুয়েল হলে আমি করতে রাজি। তবে চিত্রনাট্য মানানসই হতে হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক করা যায়, তাহলে অবিলম্বে এই দুটি সিনেমার সিক্যুয়েল আনা উচিত।’