কানপুর টেস্টে বৃষ্টি শঙ্কা আগেই ছিল। প্রথম দু’দিনের খেলায় যে বাধা হবে প্রকৃতি, তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। হলোও তাই, প্রথমদিন খেলা মাঠে গড়ালেও বৃষ্টির পেটেই গেল বেশিভাগ সময়। আর দেখা দেয় আলোক স্বল্পতা। থমকে গেছে খেলা। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছেড়েছেন ক্রিকেটাররা।
তবে যতটা সময় খেলা হয়েছে, খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। জাকির, সাদমানের পর হারিয়েছে অধিনায়ক শান্তর উইকেটও।
তবে মুমিনুল হক এখনো আছেন মাঠে, সাথে আছেন মুশফিক। মুমিনুল ৪০ ও মুশফিক ব্যাট করছেন ৬ রানে। ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন আকাশ দ্বীপ।
শুক্রবার কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রিনপার্কে টসে হেরে আগে ব্যাট করছে টাইগাররা। বৃষ্টির বাধায় যদিও খেলা শুরু হয় এক ঘণ্টা পরে, বেলা ১১টায়।
প্রথম ম্যাচে হারের পর সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। একাদশে নেই তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা। তাদের বদলে এসেছেন খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের সকালটা ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ৮.৩ ওভারে মাত্র ২৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জাকির হাসান ফেরেন ২৪ বল খেলে কোনো রান না করেই! আকাশ দ্বীপের শিকার হন তিনি।
তাতেই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ বল খেলে ০ রানে আউট হওয়ার তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে গেছে তার নাম। সবার আগে আছেন মঞ্জুরুল ইসলাম। ২০০২ সালে ৪১ বল খেলে ০ রানে ফেরেন তিনি।
জাকির ফেরার পর ফেরেন সাদমানও। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। আকাশ দ্বীপের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ভালো শুরু করেও ৩৬ বলে ২৪ রানে আউট ফেরেন সাদমান।
২৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুমিনুল হককে সাথে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিরতির আগ পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন দু’জনে।
তবে বিরতির পরই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন শান্ত। ৫৭ বলে ৩১ রান করে ফেরেন তিনি। ৮০ রানে নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুশফিককে সাথে শতরানের গণ্ডি পাড়ি দেন মুমিনুল।