বাংলাদেশের জন্য চেন্নাই টেস্টে লাল মাটির উইকেট বানিয়েছিল ভারত। যেখানে সমান সুবিধাই ছিল পেসার-স্পিনারদের জন্য। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে। যেখানে কালো মাটির উইকেট তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে চেন্নাইয়ের মতো উইকেটে অতোটা বাউন্স বা গতি থাকতে। তবে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেলেও উইকেটে খুব বেশি টার্ন থাকবে না।
চেন্নাইয়ের উইকেটে চারদিনই বাউন্স ছিল। কিন্তু কানপুরের পিচের ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। প্রকৃতিগতভাবে ফ্ল্যাট উইকেটে নিচু বাউন্সের দেখা মিলবে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও ধীরগতির হয়ে উঠবে পিচ। কেননা সেখানে কালো মাটির উপাদান থাকবে।
কানপুরের এমন পিচের কারণে বদল আসতে পারে দুই দলের একাদশেই। ভারতের একাদশে সুযোগ মিলতে পারে বাড়তি স্পিনারের। সেটা কুলদীপ যাদব হবেন নাকি অক্ষর প্যাটেল, তা সময়ই বলে দেবে।
এদিকে আঙুলের ব্যথার কারণে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়েও ভর করছে অনিশ্চয়তা। চেন্নাই টেস্টে বোলিংয়ে কম আসেন তিনি। পরে বাংলাদেশে নির্বাচক হান্নান সরকার জানান, বল করার সময় আঙুলে ব্যথা অনুভব করেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত সাকিব একাদশে থাকলেও বাংলাদেশ দলে দেখা যেতে তাইজুল ইসলাম বা নাঈম হাসানকে।
কানপুরে ভারত সবশেষ টেস্ট খেলেছিল ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল তারা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল। তবে সেই টেস্ট মাঠে গড়িয়েছিল পাঁচদিন পর্যন্ত।
কানপুরে বড় রান করার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাটারদের। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য তা কাজে লাগানো খুবই জরুরি। কেননা চেন্নাই টেস্টে হতাশ করেছেন তারা।