টিনসেল নগরীর শীর্ষস্থানীয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন করিনা কাপুর খান। তিনি বেবো নামেও ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ পরিচত। গীত বা পু-এর মতো আইকনিক চরিত্রগুলি আজও সমান জনপ্রিয় দর্শকমহলে। কেরিয়ারে যেমন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গেছেন তেমনই নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে একাধিকবার সমালোচনার মুখোমুখিও হয়েছেন। করিনার করা এমনই কিছু মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে করিনা : বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবর সামনে আসার পর থেকে বলিউডের স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছিলো গোটা দেশ। নেপোটিজম নিয়ে এর আগেও তর্ক বিতর্ক থাকলেও মূলত সেই সময় থেকেই তা নিয়ে বেশি সরগরম হয়ে ওঠে নেটপাড়া। এমতাবস্থায় করিনাকে অনেকেই নেপো কিড বলেও কটাক্ষ করে। এমতাবস্থায় করিনা বলেন, “আমরা দর্শকদের তৈরি করেছি, আর এখন সেই মানুষরাই আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলছে। সিনেমা না দেখার হলে দেখবেন না, কেউ ফোর্স করছেনা আপনাদের”।
বিদ্যা বালানকে ফ্যাট শেমিং করেন তিনি : বেশ কিছু বছর আগে ইন্ডাস্ট্রির কার্ভি এবং চাব্বি অভিনেত্রীদের টার্গেট করেন তিনি। তিনি বলেন, ” মোটা হওয়াটা সেক্সি নয়! আর যে বলছে সে ফালতু কাজ করছে। যে মহিলা বলে যে সে রোগা হতে চায় না সে ফাকিং বাজে কথা বলে। এটা প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্ন’। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, আরও যোগ করে বলেন, ‘কিছু অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে তবে আমি অবশ্যই নিজেকে মোটা দেখতে চাই না”। করিনা এই বক্তব্যে কারো নাম না নিলেও তিনি যে বিদ্যা বালানকে টার্গেট করেই এই কথা বলেছেন তা বুঝতে বাকি থাকেনি কারো। এই মন্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
তার অহঙ্কারী মন্তব্য : একসময় করিনা কাপুর, কুইন, রাম লীলা, চেন্নাই এক্সপ্রেস, কাল হো না হো ইত্যাদির মতো একাধিক ছবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমার মতো আর কোনো নায়িকা নেই যে আমার চেয়ে বেশি ছবি ছেড়েছে, সবাইকে এক প্লেটে তুলে দিয়ে বলেছি, কর।” এ ছাড়া অন্য একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অন্যদের কাজ দিতে পেরে আমি সম্মানিত ও খুশি বোধ করি। আমি আশা করি যে তারা তারকা হয়ে উঠবেন কারণ আমি বড় ছবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেছি।”
ঐশ্বর্য রাই সম্পর্কে তার মতামত : ‘হিরোইন’ ছবির জন্য মধুর ভান্ডারকরের প্রথম পছন্দ ছিলো ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কিন্তু গর্ভাবস্থার কারণে ছবিটি ছেড়ে দেন তিনি। একটি মিডিয়া সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এই ছবিটি ঐশ্বর্য করলে কতটা আলাদা হতে পারতো? তিনি তখন বলেন, ”ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে আমাকে তুলনা করে লাভ নেই। আমরা দুটি ভিন্ন প্রজন্ম থেকে এসেছি”। অনেকেই মনে করেন যে, করিনা বলতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্যর যা বয়স তাতে ঐ চরিত্রে তাকে মানাবে না।