বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে লেখা ‘খালেদা জিয়া : এ বায়োগ্রাফি অব ডেমোক্র্যাসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। ইংরেজিতে গ্রন্থটি লিখেছেন প্রফেসর কাজী কাইয়ুম শিশির। বুধবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাসির যে একটা বায়োগ্রাফি আছে, সেটাই এ বই।
জিয়াউর রহমানই এ জাতির পরিচয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে তিনি জাতীয়তা বাংলাদেশি ঠিক করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখলেন, ফারাক্কার বাঁধের কারণে পানি নেই। তখন তিনি বললেন, ভারতের সঙ্হে তো পানি নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়, বরং সেচ চাষের জন্য খাল কেটে পানি ধরে রাখো। সবাই জিয়াউর রহমানের খাল কাটা কার্যক্রম দেখেছেন।’ লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘বইটিতে সুন্দর করে বেগম খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন লেখক। গেল ১৫ বছর আমাকে মূক ও বধির করে রাখা হয়েছিল। বইটি প্রশংসিত, অনেক অজানা তথ্য এ বইটিতে রয়েছে।’
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, এ বইটিতে এমন কিছু আছে যেগুলো আগামী প্রজন্ম যাতে জানতে ও শিখতে পারে সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তাদের দশম-একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যোগ করতে পারে। এ প্রজন্ম জানে না দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত। কীভাবে তিনি রাজনীতিতে এলেন, কী করেছেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান, নাট্যব্যক্তিত্ব আজিজ আহমেদ, প্রফেসর আতাউর রহমান প্রমুখ।