বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগে না। হাতে স্মার্টফোনের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ ও সামান্য প্রতিভা থাকলেই যে কেউই হয়ে যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্সেশন।
আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়া মানুষদের তালিকাটা খুব একটা কম নয়। ইতিমধ্যে বহু মানুষ রয়েছেন যারা রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল।
২০১৯ সালে নিজের লতাকন্ঠী গলার জেরে তিনি ভিখারিনী থেকে রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। এমনকি লেজেন্ডারি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের এর গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি গেয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে।
মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্সেশন হওয়ার আগে রানু মন্ডলের মূল পেশা ছিল রানাঘাট স্টেশনে বসে ভিক্ষে করা। সেখানে তিনি সকলকে গান শুনিয়ে ভিক্ষে করতেন। এরপরই তিনি নজরে আসেন অতীন্দ্র নামক এক ব্যক্তির।
এরপর ওই ব্যক্তিই রানুমন্ডলের গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। আর তা ঝড়ের বেগে রাতারাতি তুমুল ভাইরাল হয় সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। এমনকি তিনি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেন যে তাঁর ডাক পরে সুদূর মুম্বাই থেকে গান গাওয়ার উদ্দেশ্যে। এরপর রানু মন্ডল মুম্বাইতে গিয়ে বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার তথা গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সাথে একটি সিনেমার গানও গান।
তবে রানু মন্ডল যেভাবে রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন সেভাবেই নিমেষে সবকিছু হারিয়ে বসেন নিজের স্বভাবের কারণে। সোশ্যাল মিডিয়া স্টার হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে তিনি জনগণের রোষের মুখে পরেন। আর এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর পতন। তবে বর্তমানে বেশ কিছু ইউটিউবারের কারণে তিনি লাইম লাইটে উঠে আসেন। সম্প্রতি সেরকমই এক ইউটিউবার উপস্থিত হন রানুমন্ডলের বাড়ি।
আর সেখানেই খোলা মনে গান গাইতে দেখা গিয়েছে সকলের প্রিয় রানুদিকে। ঘরোয়া নাইটি এবং চোখে রোদ চশমা পরে তিনি ‘গোরি তেরি গাঁও বারা পেয়ারা’ গানটি গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন। যা বর্তমানে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। আর এর থেকেই রানুমন্ডল আবার উঠে এসেছেন সংবাদের শিরোনামে।