একবার ওজন বেড়ে গেলে সেখান থেকে সঠিক ওজনে ফেরা কঠিন, আবার ঝক্কিরও। অতিরিক্ত ওজন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। শারীরিক নানা অসুবিধায় পড়তে হয়, নানা রোগ বাসা বাঁধে। অনেকেই চেষ্টা করেন ওজন কমানোর, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চেষ্টা করাই ভালো।
ব্যালেন্স ডায়েট খুবই জরুরি। অনেকেই ওজন কমানোর কথা চিন্তা করে, শুরুতেই শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। যেটা শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক না। আমাদের শরীরে পরিমাণ ও প্রয়োজনমতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার নিতেই হবে।
সে ক্ষেত্রে ভাত তো বটেই, ভাতের বদলে রুটি, বিস্কুট, নুডুলস, পাস্তা খাওয়া যেতে পারে। সবার আগে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, কোনোভাবেই কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার বাদ দেয়া যাবে না।
একজন সুস্থ মানুষের ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী ব্যালেন্স ডায়েট করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওজন, উচ্চতার পাশাপাশি কতটুকু প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল দরকার হবে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কোন বেলার খাবার বাদ দেয়া যাবে না। সকালের নাস্তা অবশ্যই সময়মতো করতে হবে। অনেকেই আছেন, যারা রাতে দেরিতে ঘুমান আবার সকালেও ঘুম থেকে দেরিতে ওঠেন। ফলে বেশির ভাগ সময় সকালের খাবার সময় মতো খাওয়া হয়ে ওঠে না, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
সকালের নাস্তা হবে ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে।
সকালের নাস্তার আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর হালকা খাবার খেতে হবে। এভাবে সারা দিনে ৩ বার ভারী আর ৩ বার হালকা মিলিয়ে মোট ৬ বার খেতে হবে।
সন্ধ্যা বা বিকেলের নাস্তায় কার্বোহাইট্রেডজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। সে ক্ষেত্রে টক দইয়ের সঙ্গে নানান রকমের ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, সিদ্ধ ছোলা সালাদ বা মুড়ির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যালরি ঠিক রেখে ওজন কমাতে হবে। শুধু খাবার কম খেলে ওজন কমানো যায় না।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/modhur-sathe-rosun/
খাবারের পর ৪৫ মিনিট হাঁটা ভালো। নয়তো ফ্রি হ্যান্ড এক্সাসাইজ করা যেতে পারে। মাঠ অথবা রাস্তা, ছাদে, ট্রেডমিলে বাসার নিচে লম্বা স্থানে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। শিশুরা টিভি বা মোবাইল, ট্যাব রেখে খেলাধুলা, ছুটাছুটি করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে খুবই ভালো, শরীর সুগঠিত থাকে আর ওজন তো নিয়ন্ত্রণে থাকেই। তবে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে তাদের খাদ্যাভাস ও ব্যায়ামের নিয়ম ঠিক করে নেয়া উচিত।