দেশের চলমান নানা ইস্যুতে আলোচনার জন্য ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়।
সেই সংলাপে অংশ নিতে এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল ( অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতে দাওয়াত দেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সেই মোতাবেক বুধবার বিকাল ৩টার পর সেখানে যান ড. কর্নেল অলি এবং ড. রেদোয়ান আহমেদ। প্রবেশপথে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে অতিথি তালিকায় তাদের নাম নেই। পরে তারা অনুষ্ঠানস্থলে না গিয়ে বাসায় চলে আসেন। পরে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যোগাযোগ করলেও তারা আর অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। দাওয়াত দিয়ে অতিথি তালিকায় কেন নাম রাখেনি সেটা সরকার ভালো বলতে পারবে।
এদিন সন্ধ্যায় এলডিপির যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্য প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। এদের মধ্যে রয়েছে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্ব বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে রয়েছে- সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার ও হামিদুর রহমান আজাদ।
এছাড়া গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বৈঠকে অংশ নিয়েছে।