ফল হিসাবে কলায় যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি কলাপাতারও কিন্তু রয়েছে অনেক গুণাগুণ। আগের সময় কলাপাতায় খাবার খাওয়ার প্রচলন ছিল। তখনও খাবারের থালা তৈরি হয়নি। থালাবাসন তৈরি হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানে বাড়িতে কলাপাতায় খেতে দেওয়া হত। জানেন কি এতে শরীরে কোন প্রভাব পরে কি না?
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, কলাপাতায় কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলাপাতার রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিন। শরীরের নানা উপকার করে এই রস। ফলে কলাপাতায় খাবার খেলে অনেকে ধরনের উপকার হতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, এই তালিকায় কী কী রয়েছে।
কলাপাতায় খাবার খাওয়ার গুণাগুণ
কলাপাতায় খাবার খেলে পেটের নানা রোগ সেরে যেতে পারে বা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। জ্বর-সর্দি, ডায়ারিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কারণ এইভাবে খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়তে পারে কিছুটা।
কলাপাতার রসের কিছু উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এগুলো সবই রোগ প্রতিরোধ শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়লে, এগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর সেই কাজটিই করে কলাপাতার রস।
এ ছাড়াও কলাপাতায় খাবার খেলে সামান্য হলেও কমতে পারে ব্লাড প্রেশার। এর কিছু উপাদান সেই কাজে সাহায্য করতে পারে। এমনই মত বহু আয়র্বেদ বিশেষজ্ঞের।
অনেক সময় কলাপাতায় মুড়ে মাছ, মাংস রান্না করে খাওয়া হয়। অনেকেই হয়তো ঐতিহ্য মেনে এই রেসিপিগুলো খেয়ে থাকেন। তবে শুধু স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতেই নয়। খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়াতেও সাহায্য করে এই কলাপাতা। এতে রয়েছে পলিফেনল। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে পুষ্টিগুণ বাড়ে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/ghorer-mejher-dagh/
তবে মনে রাখবেন, বর্ষায় যে কোনও কাঁচা পাতা থেকে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কলাপাতায় খাবার খেতে হলে, তার আগে পাতা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস