উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি, ছিপছিপে চেহারা, দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার মতো সৌন্দর্য, দুধের মতো মসৃণ ত্বক, বিদেশিনী হলেও বিবাহসূত্রে তিনি এখন পাকাপাকি ভাবে ভারতীয়। তিনি আর কেউ নন, বলিউডপাড়ার ‘বার্বিডল’ খ্যাত নায়িকা ক্যাটরিনা কইফ।
রুপালি পর্দায় এলে আলাদা দ্যুতি ছড়ান ক্যাটরিনা। তবে সেই দ্যুতি যে শুধু পর্দায় সীমাবদ্ধ নেই। কালো বিকিনিতে মালদ্বীপের সমুদ্রসৈকত যাপন হোক কিংবা ঘুম ভাঙা চোখে সকালের নরম আলোয় নিজেকে মেলে ধরা— ক্যাটরিনার সৌন্দর্য সবেতেই স্নিগ্ধ।
ক্যাটরিনার সৌন্দর্যের রহস্য জানতে তাই উদগ্রীব তার অনুরাগীরা। বাইরের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নায়িকা ভেতর থেকে যত্ন নেয়ায় বিশ্বাসী। তাই নিজেকে ফিট এবং ঝলমলে রাখতে প্রসাধনীর চেয়েও ভরসা রাখেন স্বাস্থ্যকর খাবারে। ডায়েট নিয়ে অতিমাত্রায় সচেতন ক্যাটরিনা। একটু এদিক থেকে ওদিক হওয়ার উপায় নেই। নিষ্ঠার সঙ্গে সব নিয়ম মেনে চলেন তিনি। কী খাবার থাকে ৪০ বছর বয়সী ক্যাটরিনার পাতে? জেনে নিন।
ভেজানো কিশমিশ
একেবারে সকালে খালি পেটে আটটি ভেজানো কিশমিশ খেয়ে দিন শুরু করেন নায়িকা। কিশমিশ খেলে হজম ভালো হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হজম ভালো হওয়া জরুরি। সে কারণেই ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে ক্যাটরিনা ভরসা রাখেন রাতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশের উপর।
শাক-সবজির রস
স্যুপ অথবা তরকারির চেয়ে কাঁচা শাক এবং সবজি রস করে খাওয়াতেই বিশ্বাসী ক্যাটরিনা। তাই প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ধরনের সবজির রস খান তিনি। কখনো সেই তালিকায় থাকে গাজর, কোনো দিন আবার পালং শাক।
সামুদ্রিক মাছ
দিনে দুইবার ভারী খাবার খান ক্যাটরিনা। তবে খাবারে যা-ই থাক, তা বাড়িতেই তৈরি হওয়া চাই। মাছ খেতে ভালোবাসেন নায়িকা। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। এ ছা়ড়া, অ্যাভোকাডো স্যালাড, কিনোয়া প্যানকেক, লেটুস র্যাপ তার প্রিয়।
স্টু এবং স্যুপ
তরল খাবারের প্রতি ক্যাটরিনার বরাবরই ঝোঁক। তাই শুটিং থাকলে স্টু এবং স্যুপ তার অন্যতম সঙ্গী। তবে চিকেন স্যুপ নয়। ডাঁটা এবং ব্রকোলি দিয়ে স্যুপ নায়িকার সবচেয়ে পছন্দের। কারণ, ব্রকোলিতে রয়েছে ফাইবার উপাদান, যা হজমের গোলমাল কমায়।