যে কোনও জিনিস কেনার আগেই ভাল করে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। সে যে জিনিসই হোক না কেন। ঠিক তেমনই একটি ল্যাপটপ কেনার আগে সব কিছু ভাল করে জেনে নিয়ে তবেই কিনুন। যদি ল্যাপটপ কেনার প্ল্যান করে থাকেন, আর বুঝতে না পারেন কী কী জিনিস মাথায় রেখে কিনবেন, তাহলে দেখে নিন এইসব টিপস। আর যদি অনলাইনে কেনেন, তাহলে যে কোনও প্লাটফর্ম থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে এর রিভিউ পড়ে নেওয়া ভাল। সম্ভব হলে ল্যাপটপের আকার, ওজন এবং কার্যক্ষমতা সঠিকভাবে বুঝে নিন।
কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন?
কেনার আগে নিজে ঠিক করে নিন ঠিক কোন উদ্দেশ্যে আপনার ল্য়াপটপটিকে ব্যবহার করবেন। তারপরেই কিনুন। যদি মনে হয় গেম খেলার জন্য কিনবেন, তাহলে ভাল করে প্রসেসর আর গ্রাফিক্স কার্ড দেখে নিন। কারণ একবার আপনি আপনার প্রয়োজনগুলিকে জেনে নিতে পারলে, সেই হিসেবে ল্যাপটপের ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন তুলনা করে কিনে নিতে পারবেন।
অপারেটিং সিস্টেম ও প্রসেসর দেখে নিন-
আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে পারদর্শী হন, তবে তেমনই ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। যাতে ব্যবহার করতে কোনও রকম সমস্যা না হয়। তবে নতুন কিনছেন যখন সমস্ত কিছু বিচার করে তারপরেই কিনুন। প্রসেসর ল্যাপটপের গতি এবং কর্মক্ষমতাকে বজায় রাখে। আপনি যদি ভারী প্রোগ্রাম চালানোর প্ল্যান করেন, তাহলে একটি শক্তিশালী প্রসেসরের প্রয়োজন হবে। তাই কেনার আগে সেটাও নজরে রাখুন।
RAM এবং স্টোরেজ:
RAM ল্যাপটপের জন্য মেমরির মতো কাজ করে। আপনি যদি একসঙ্গে একাধিক প্রোগ্রামে কাজ করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার আরও RAM লাগবে। স্টোরেজ বেশি থাকলে ল্যাপটপে আপনার ডেটা সেভ করতে পারবেন। আপনার যদি অনেক ডেটা থাকে, তবে স্টোরেজ বেশি কেনার কথা ভাবুন।
ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি লাইফ দেখেই কিনুন-
আপনি যদি উচ্চ রেজোলিউশনের ডিসপ্লে চান, তাহলে ল্যাপটপে ভাল ডিসপ্লে আছে কি না খেয়াল রাখুন। এছাড়া ল্যাপটপের ব্যাটারি কতক্ষণ চলবে, তাও দেখা জরুরি। আপনি যদি প্রায়ই সুইচ পোর্ট কানেক্ট না করে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি বেশি ব্যাটারি লাইফ সহ একটি ল্যাপটপ কিনে নিন।