বর্তমান বিশ্বে বহুল ব্যবহূত ও জনপ্রিয় ই-মেইল পরিষেবা হচ্ছে জিমেইল। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারে, ছবি ও অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণে জিমেইল অ্যাকাউন্ট অত্যাবশ্যকীয়। বিভিন্ন কারণে অনেকেই জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার হারান।
অনেকে পাসওয়ার্ড ভুলে যান। অনেকে ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে আইডিটি লক করে ফেলেন। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করে লকড আইডিটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ব্যবহূত ফোন নম্বর দিয়ে লগইনের চেষ্টা করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোন নম্বর যুক্ত করতে হয়, যা পরবর্তী সময়ে টু স্টেপ ভেরিফিকেশনে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় পদক্ষেপে রিকভারি ই-মেইল আইডি বা ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যায়। গুগল সবসময় অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ই-মেইল আইডি বা ফোন নাম্বারে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানোর সুবিধা দেয়। তাই সবসময় ব্যবহূত ফোন নাম্বারটি চালু রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে হবে।
তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ব্যবহারকারী তার আইফোন বা আইপ্যাড ব্যবহার করে ই-মেইল আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। কেননা এসব ডিভাইসে ব্যবহারকারীর কাছে ভেরিফিকেশন বা পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে না।
পরের ধাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য। প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনই একটি গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ইউজার ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহূত মোবাইল নাম্বার থেকে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে গুগল অথেনটিকেটর অ্যাপ ব্যবহার করা ভালো। এটি প্রতিনিয়ত কোড তৈরি করে।
লগইনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সেভড ডিভাইস ব্যবহার করে। এ পদ্ধতিতে বাসা বা অফিস থেকে নির্দিষ্ট ডিভাইসের ব্রাউজার ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে লগইন করা সম্ভব।
ই-মেইলে লগইনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রিকভারি অপশন কাজ না করলে বা উত্তর না মিললে ভয়ের কিছু নেই। গুগল অ্যাকাউন্ট পেজের নিচের দিকে ওয়েজ উই ক্যান ভেরিফাই ইউ অপশনে গুগল রিকভারি নাম্বার বা ই-মেইল দেখাবে।
সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমেও ই-মেইল আইডিতে প্রবেশ করা সম্ভব। যখন টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ছিল না তখন ই-মেইল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কিছু প্রশ্ন জুড়ে দেয়া হতো। যেগুলো পরবর্তী সময়ে অ্যাকাউন্ট আনলকে সহায়তা করত। এক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
পরিচয় নিশ্চিতের একটি ধাপ হিসেবে গুগল ব্যবহারকারীকে পুরনো পাসওয়ার্ড লিখতে বলে। পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পর পুরনোগুলো সংরক্ষণ করা ভালো। পুরনো পাসওয়ার্ড মনে না এলেও যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ভালো।
সর্বশেষ ধাপ হিসেবে কবে নাগাদ ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সেটি মনে করার চেষ্টা করতে হবে। যদি সঠিক উত্তর মনে না-ও থাকে তাহলেও এটি সাহায্য করবে। এ অপশন পাওয়ার জন্য প্রথম দিকের স্বাগত বার্তার সন্ধান করতে হবে।