১৯৯৪ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মাঝে পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন দশক। বর্তমানে স্বামী অভিষেক বচ্চন এবং কন্যা আরাধ্যাকে নিয়ে সুখের সংসার তার। তবে পুরনো হোক কিংবা নতুন, বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওর দরুন অভিনেত্রীও সর্বদায় থাকেন সংবাদ মাধ্যমে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাম্প্রতিককালে এমনই এক পুরোনো বিতর্কিত ভিডিওর জেরে অভিনেত্রী হলেন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
ভাইরাল এই ভিডিওতে অভিনেত্রীকে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে তার নব্বইয়ের দশকের প্রেমিক সালমান খানের বিরুদ্ধে কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায়। খুললাম খুললা, এই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলিউডের ভাইজানের বিরুদ্ধে নিয়ে এসেছিলেন শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অভিনেত্রীর বয়ানে, অভিনেতার সাথে সম্পর্কে থাককালীন সময়ে অভিনেতা কতৃক ইচ্ছাকৃত অত্যাচারের জেরে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ হয়ে যায়, আর নির্যাতনের সেই চিন্হগুলিকে অভিনেত্রী মেকআপের সাহায্যে লুকিয়ে রাখতেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
একটা সময় অভিনেত্রী আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন এই সম্পর্কে, বহু চেষ্টা করেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত কঠিন এক ব্যাপার। তবে অবশেষে ইন্ডাস্ট্রির “বাদশাহ পুত্র’ অভিষেকের সাথে পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তবে তাতেও মেলেনি রেহাই, বিবাহ পরবর্তী সময়েও সালমান কতৃক একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন বিশ্ব সুন্দরী।
একদা মধ্যরাতে অভিনেত্রীর বাড়ির বাইরে গিয়ে চিৎকার চ্যাচামিচির কারণে অভিনেতার বিরুদ্ধে প্রতিবেশীরা নিয়েছিলেন আইনানুগ ব্যবস্থা। আর সেইসময়ের সংবাদমাধ্যমের চর্চা অনুযায়ী উক্ত কারণে থানায় হাজিরাও দিতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
শোনা যায়, প্রণয় সম্পর্কে থাকাকালীন অভিনেত্রী কতৃক অভিষেকের সাথে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার কারণেই এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল ব্যর্থ প্রেমিক সাল্লু মিয়ার তরফে। তবে সময়ের সাথে সাথে সেই সকল ঘটনাবলীর উপরে জমেছে পুরু ধুলোর আস্তরণ। আর সেই ধুলোই কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে সম্প্রতি ভাইরাল সাক্ষাৎকারের জেরে।