বয়সটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সাধারণের কাছে অনুপ্রেরণা হয়েছেন বাংলা এবং বলিউডের বহু সেলিব্রিটি। তাদের কাছে বয়সের অঙ্কটা কোনও ফ্যাক্টরই নয়। ভারতবর্ষে এমন বহু তারকা রয়েছেন যারা একেবারে শেষ বয়সে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। শেষ বয়সে এসেই তারা খুঁজে পেয়েছেন তাদের ভালোবাসার মানুষটিকে।
শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স বাড়তে দেননি তারা। এদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন রোমান্সের পর সম্পর্কটাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। ৩ জন বাঙালি সেলিব্রেটিও রয়েছেন এই তালিকায়। আজ এই প্রতিবেদনে রইল সেই সেলিব্রেটি জুটিদের কথা যারা বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন। তবে তাদের সম্পর্ক কিন্তু দারুণ মজবুত। দেখে নিন এই তালিকায় রয়েছেন কারা।
নীনা গুপ্তা এবং বিবেক মেহেরা : বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত প্রথম জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট তারকা ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই সম্পর্কের জেরে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ভিভের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেই সন্তানকে একাই মানুষ করেন নীনা। এরপর ৫৪ বছর বয়সে তিনি বিবেক মেহেরাকে বিয়ে করেন। বিবেক পেশায় একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। তাদের সুখী দাম্পত্য দেখলে জুড়িয়ে যায় চোখ।
সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান : প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ কিছু সময় যাবত অপেক্ষা করে তবেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সইফ। তবে এই সময়ে তার সঙ্গে একাধিক মহিলার নাম জড়ায়। সবাইকে ছেড়ে তিনি অবশ্য করিনা কাপুরকেই বিয়ে করেন। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়। সইফের সঙ্গে করিনার বয়সের পার্থক্য প্রায় ১৪ বছর।
রানী মুখার্জী এবং আদিত্য চোপড়া : বাংলার মেয়ে রানীর সঙ্গে বলিউড পরিচালক আদিত্য চোপড়ার প্রেম দেখলে যে কারও হিংসা হতে পারে। তবে তারাও তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করেননি। বেশ কয়েক বছর প্রেমের পর চুপিসারে বিদেশে বিয়ে সেরে নেন রানী এবং আদিত্য। বিয়ের সময় রানীর বয়স ছিল ৩৬ বছর এবং আদিত্য চোপড়ার বয়স ছিল ৪৩ বছর।
দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায় : দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায় দুজনেই বাংলার জনপ্রিয় সেলিব্রেটি। দীর্ঘ ২২ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। দীর্ঘদিন রোমান্সের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ২০২০ সালে। তখন দীপঙ্করের বয়স ৭৫ বছর এবং দোলন রায়ের বয়স ৪৯ বছর। দুজনের বয়সের পার্থক্যটা চোখে লাগলেও তা তাদের সম্পর্কে আঁচ ফেলতে পারেনি।