বাজারে আসছে মারুতি সুজুকির প্রথম ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল। পেট্রোপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে, এবং তা উত্তরোত্তর বাড়বে বই কমবে না। তাছাড়া পেট্রোলিয়ামের মজুত অফুরন্ত নয়, সাথে তা পরিবেশকেও দূষিত করে। এই সব দিক মাথায় রেখে বর্তমান বিশ্ব মূল্যবৃদ্ধি ও সেইসাথে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বর্তমান বিশ্ব ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের দিকে ঝুকছে।
এই পথের পথিকৃৎ পৃথিবীর অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেসলা। পিছিয়ে নেই দেশের জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টাটা মোটরস। তবে সেই দৌড়ে পিছিয়ে যোগ দিতে চলেছে আর এক জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা মারুতি সুজুকি। তারাও ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতের বাজারে তারা আনতে চলেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত গুজরাটে তারা এই গাড়ি প্রস্তুতির কাজ শুরু করবে। যদিও কোম্পানির তরফ থেকে অফিশিয়ালি কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে মারুতি সুজুকির ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল প্রযুক্তি এবং ব্যাটারি সমন্ধিত প্রজেক্টে মনোনিবেশ দেখে এটা নিশ্চিতরূপে বলা যায় যে তারা বৈদ্যুতিক গাড়ি আনবে। তবে তারা পেট্রোল চালিত গাড়ির মত তাদের ট্রেডমার্ক কম দামের গাড়ি হয়তো আনবে না। ধরা হচ্ছে তাদের কোম্পানির ইলেকট্রিক গাড়ির দাম ১০ লাখের বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মারুতি সুজুকি ভারতীয় বাজারে প্রথম যে ইলেকট্রিক গাড়ি আনবে সেটি হবে, একটি মিড সাইজ এসইউভি। সুজুকি এবং টয়োটা দুটি সংস্থা একযোগে এই প্রজেক্টে কাজ করছে। শোনা যাচ্ছে আগামী ২০২৩ সালের অটো এক্সপোতে প্রথম তাদের কনসেপ্ট কার রিলিজ করবে।মনে করা হচ্ছে গাড়িটি দুই রকম ব্যাটারীর ভেরিয়েন্ট যুক্ত করা হবে। একটি হবে ৪৮kwh এর,যার রেঞ্জ হবে ৪০০ কিমি অন্যটি হবে ৫৯ Kwh এর যার রেঞ্জ হবে ৫০০ কিলোমিটার।
এছাড়া জানা গিয়েছে মারুতি সুজুকির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়িটি দেখতে খানিকটা গ্র্যান্ড ভিটারার মত হবে। গাড়িটি ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শোরুমে চলে আসবে। শক্তিশালী হাইব্রিড পাওয়ার ট্রেন ও ইন্টেলিজেন্স হাইব্রিড প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়েছে গাড়িটি। গাড়িটিতে ১.৫ লিটার TNGA পেট্রোল এবং স্মার্ট হাইব্রিড সিস্টেম ১.৫ লিটার k15C ডুয়েল জেট ইঞ্জিন আছে। দাম রাখা হয়েছে ৯.৫ লক্ষ থেকে ১৫.৫ লক্ষের মধ্যে।