দেশে একটি প্রকৃত জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করা আমাদের মূল লক্ষ্য মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের নয়, দেশের প্রতিটি স্তরের জনগণের প্রতিনিধিদেরও জবাবদিহি করতে হবে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে শুরু করে, সরকারের শীর্ষ পদধারীরা সকলের জন্যই এই জবাবদিহি অপরিহার্য।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফরিদপুরে আয়োজিত ‘৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান। কর্মশালায় ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, “জবাবদিহির অভাবে ফরিদপুর থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেশে যদি সঠিকভাবে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হতো, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আইনশাসনসহ অন্যান্য খাতে ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা একটি প্রধান অঙ্গীকার।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। যদি জনগণের আস্থা হারিয়ে যায়, তবে দলের অস্তিত্ব বিপদে পড়বে। আমাদেরকে অবশ্যই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলতে হবে এবং আমাদের দলের ভেতরকার ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে।”
এছাড়া, বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাবের মধ্যে থাকা সংস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “অনেকেই আমাদের সংস্কারের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হচ্ছেন। এই ৩১ দফা দেশের উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।”
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ। এছাড়া, কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা, তাদের মধ্যে ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসকুর রহমান মাসুক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদারেছ আলী ইছা প্রমুখ।