আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। একই সাথে আন্দোলনের কারণে যে সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল সেগুলোর জন্য জমা দেয়া ফি-ও ফেরত পাবে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
সূত্র জানায়, এ বছর গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের কারণে বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় বিষয়গুলোর ব্যয় না হওয়ায় ফি-এর টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
অপরদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার জানিয়েছেন এইচএসসির ফল কীভাবে দেয়া হবে সে-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদনের আগে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ফল প্রকাশ করার। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , বাতিল হওয়া পরীক্ষরা ফি ফেরত পাবে শিক্ষার্থীরা। এবছর ছাত্র আন্দোলনের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এর স্থগিত পরীক্ষাগুলো ২০ আগস্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই বিষয়গুলো ছাড়া অবশিষ্ট বিষয়গুলোর জন্য পত্রপ্রতি (তত্ত্বীয়) উত্তরপত্র মূল্যায়ন বাবদ ধার্য করা টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ আদায় করা টাকার অব্যয়িত অংশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির গত ১৮ সেপ্টেম্বরের ১৯২তম সভায় পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র জানায়, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল তাদের প্রবেশপত্রে উল্লিখিত প্রতিটি পত্রের জন্য বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি পত্রপ্রতি (তত্ত্বীয়) ৪০ টাকা করে ফেরত দেয়া হবে। বোর্ড থেকে ফেরতকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থী নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ড প্রদত্ত অব্যয়িত অর্থ গ্রহণ করবে।
আবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল তাদের প্রবেশপত্রে আইসিটি ছাড়া সব ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্রপ্রতি ৪৫ টাকা করে ফেরত দেয়া হবে। পরীক্ষার্থী ব্যবহারিক ফি বাবদ অব্যয়িত অর্থ নিজ প্রতিষ্ঠান নিতে হবে। ঢাকা ফেরতের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র ফি বাবদ আদায়কৃত টাকার ১০ শতাংশ কেটে অবশিষ্ট টাকা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে দেয়া হবে। কেন্দ্র টাকা পরীক্ষা পরিচালনা, পরীক্ষার গোপনীয় মালামাল বোর্ডে জমা দেয়াসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরো তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।