লাল গ্রহ মঙ্গলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। স্টারলিঙ্ক যেমন আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়, মঙ্গলগ্রহে তেমনই পরিকাঠামো তৈরি করতে চান ইলন মাস্ক এবং তার কোম্পানি স্পেসএক্স।
ইতিমধ্যেই নাসা-কে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্সলিঙ্ক’। সম্প্রতি নাসা-এর ‘মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম অ্যানালাইসিস গ্রুপ’-এর মিটিংয়ে এই সম্পর্কে খুঁটিনাটি পেশ করা হয়। সেখানে ইলন মাস্কের কোম্পানি জানিয়েছে, স্পেসএক্স মঙ্গলের কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করে ডেটা বিনিময়ের জন্য সিস্টেম তৈরি করবে।
বর্তমানে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ১০২টিরও বেশি দেশে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়। একদম একইরকম নেটওয়ার্ক মঙ্গল গ্রহে তৈরি করতে চান মাস্ক। মার্সলিঙ্ক তৈরি হলে শুধু মঙ্গলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে তাই নয়, মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যে যোগাযোগও সহজে হয়ে যাবে। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত গবেষণার কাজে নাসা-এরও সুরাহা হবে।
ব্লু রিং অরবিটাল টাগ: ব্লু অরিজিন নামের একটি কোম্পানি ‘ব্লু রিং অরবিটাল টাগ’-এর আইডিয়া নিয়ে এসেছে। মহাকাশে ডেটা পাঠানো এবং ক্লাউড কম্পিউটিং প্রসেসিংয়ের জন্য এটা ব্যবহার করা হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি পেন্টাগনের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ‘ডার্ক স্কাই ১ মিশন’-এর জন্য ব্যবহার করা হবে, তবে এর উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক: লকহিড মার্টিন আবার বলছে, ২০১৩ সালে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে পাঠানো ম্যাভেন মহাকাশযানকে কাজে লাগানো হোক। তাদের মতে, এই মহাকাশযানকে নাসা-এর ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মতো করে ব্যবহার করা যেতে পারে। যা পৃথিবীতেই তৈরি।
বলে রাখা ভালো, মঙ্গলে ভবিষ্যতে মানুষ পাঠানোর মিশনের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সম্পদ সরবরাহ করতে পারে এমন বেসরকারি স্পেস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধার কথা ভাবছে নাসা। লেজার-ভিত্তিক প্রযুক্তি নিয়েও কাজ। তবে মানুষ পাঠানো এবং তাদের ফিরিয়ে আনা, জ্বালানি, অক্সিজেনের যোগান ইত্যাদি কীভাবে হবে তার সমাধান মেলেনি।