মানুষ সামাজিক জীব। এ কারণে পরিবারের বাইরে চলতে ফিরতে সমাজের সবার সঙ্গে মিশে চলতে হয়। আবার শহরে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বাসার আশপাশে বিভিন্ন কমিউনিটির সঙ্গে চলতে হয়। এদিকে কর্মস্থলেও সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়ে উঠে। আর জীবনের এই পর্যায়ে অনেককেই আমাদের কাছে নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষী বলে মনে হয়। তবে কিছু কিছু সময় সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।
আশপাশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষী মনে হওয়া মানুষগুলোর অনেকেই আমাদের ভালো চায় না। আমাদের ভালো কিছু দেখতে পারেন না। বাহ্যিকভাবে তাদের ভালো মনে হলেও আমাদের আড়ালে আমাদেরই সমালোচনা ও খারাপ চেয়ে থাকেন তারা। কেউ কেউ আবার আমাদের আড়ালেই ক্ষতির চেষ্টা করেন। সম্প্রতি এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে মনোবিজ্ঞানী জিয়াদ রুমি কয়েকটি লক্ষণ জানিয়েছেন, যা দেখে বোঝা যাবে কে প্রকৃত বন্ধু, কে বন্ধু নয়।
সময় কাটাতে ক্লান্তবোধ করা: প্রকৃত বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে কিংবা গল্প-আড্ডায় সময় কাটালে কখনো ক্লান্তবোধ হবে না। তবে যারা আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে গেলে সবসময় উপেক্ষিত থাকবে আপনার বিষয়। এ অবস্থায় তাদের সঙ্গে কথা বললে নিজের অজান্তেই ক্লান্তবোধ করবেন। বিপরীতে প্রকৃত বন্ধুর সঙ্গে কথা বললে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা যায়। এবার নিজের মনের অনুভূতি অনুযায়ী বুঝে নিন কে আপনার প্রকৃত বন্ধু।
আপনাকে নিয়ে ভাবেন না: কখনো যদি মনে হয় আপনার এই বন্ধু আপনাকে নিয়ে ভাবেন না, তাহলে সহজেই বুঝতে হবে তিনি আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। কখনো কোনো কারণে আপনি গভীরভাবে আবেগপ্রবণ বা উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। এ অবস্থায় যদি আপনার আশপাশে থাকা বন্ধু গুরুত্বপূর্ণভাবে আপনার কথা না শোনেন বা বিষয়টি নিয়ে না ভাবেন, তাহলে এটি এক ধনের ক্লাসিক চিহ্ন যে, তিনি আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। একজন প্রকৃত বন্ধু আপনার আবেগ এবং আপনার মন ভালো রাখার কারণ সম্পর্কে আগ্রহী থাকবে।
আপনার সাফল্যে খুশি নয়: জীবনের বিভিন্ন ধাপে যেমন পতন থাকে, একইভাবে আবার উত্থানও রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্যও পেয়ে থাকেন। এই সাফল্য অর্জনে পরিবারের সদস্য ছাড়াও আপনার প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীরা খুশি হয়ে থাকেন। কিন্তু বন্ধু মহলের কেউ যদি আপনার সেই সাফল্যে ব্যঙ্গাত্মক বা হস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন, ব্যবহারের মাধ্যমে হিংসা প্রকাশ করেন, তাহলে বুঝতে হবে ওই মানুষটি আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়।