বিয়ের পর শুরু হয় নতুন জীবনের। অনেককিছুই পরবর্তিত হয়। অনেক নতুন অভ্যাসে মানিয়ে নিতে হয়। ছাড় দিতে হয় অনেকক্ষেত্রে। বিয়ের পরে সম্পর্কটি সুন্দর করার প্রচেষ্টা থাকে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই। কিন্তু কিছু ভুল হয়ে যেতেই পারে। হয়তো অনেক সময় তারা বুঝতেও পারেন না যে এটি ভুল। হয়তো সেটি থাকে সুন্দর কিছু করার প্রচেষ্টা। কিন্তু তা প্রয়োগের ভুলে হয়ে যায় নেতিবাচক কিছু। সেখান থেকে বাড়তে পারে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি ভুল সম্পর্কে, যেগুলো বেশিরভাগ নারীই বিয়ের পর করে থাকে-
১. নিজেকে অবহেলা করা
বেশিরভাগ নারীই স্ত্রী এবং মা হিসাবে তার ভূমিকাকে নিজের মঙ্গলের চেয়ে অগ্রাধিকার দেয়। যদিও পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পরিবারের প্রতি অনুভূতি বজায় রাখাও অপরিহার্য। কিন্তু ব্যক্তিগত আগ্রহ, শখ, লক্ষ্য বা নিজের যত্নের প্রতি অবহেলা করার অভ্যাস দাম্পত্য জীবনের তৃপ্তি কমিয়ে দিতে পারে। তাই নিজেকে সমৃদ্ধ করা এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব উপেক্ষা
ঘনিষ্ঠতা মানে কেবল শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নয়; এটি মানসিক সংযোগকেও বোঝায়। অনেক নারীর বিয়ের পরে শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উপেক্ষা করে বা এর গুরুত্বকে অবহেলা করে। নিয়মিত মন খুলে কথা বলা, ছোট ছোট অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া এবং আবেগ প্রকাশ করার অভ্যাস দু’জনের মধ্যে গভীর সংযোগ তৈরি করে। এই দিকগুলোকে উপেক্ষা করলে তা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে।
৩. অনুমান করা
অনুমান করার অভ্যাস নারীদের বেশ পুরনো। হয়তো অনেকক্ষেত্রে সেই অনুমান সত্যিও হয়ে যায়। তবে এই অভ্যাস থেকে সরে আসাই উত্তম। কারণ স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে কেবল অনুমানের ভিত্তিতেই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তা কখনো সুফল বয়ে আনবে না। কারও মনের কথা জানার জন্য তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে হয়। আপনার অনুমানের কারণে সংসারে অশান্তিও সৃষ্টি হতে পারে। তাই মনে কোনো প্রশ্ন এলে, সন্দেহ তৈরি হলে খোলাখুলি কথা বলুন। এটি সম্পর্ক সুন্দর রাখতে কাজ করবে।
৪. অবাস্তব প্রত্যাশা
সমস্ত মানসিক, সামাজিক এবং আর্থিক চাহিদা পূরণ করার জন্য কেবল স্বামীর দিকেই তাকিয়ে থাকাটা অবাস্তব প্রত্যাশা হতে পারে। কারণ একজন মানুষ কখনোই আরেকজনের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। তার নিজেরও কিছু স্বপ্ন থাকতে পারে। একথা সত্যি যে, একজন পুরুষের জীবনে তার স্ত্রী জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বলে স্ত্রীর সুখ এবং পরিপূর্ণতার একমাত্র উৎস কেবল স্বামীকেই ধরে নিলে তা হতাশার কারণ হতে পারে। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অবশ্যই প্রত্যাশা থাকবে। তবে তা যেন তার ওপর চাপ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/bedroom-aramdayok/
৫. সমস্যার সমাধান না করে এড়িয়ে যাওয়া
যেকোনো সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘটতেই পারে। কিন্তু সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে সেটি এড়িয়ে যাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। কিছু নারী সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দ্বন্দ্ব এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সমস্যা দেখা দিলে শুরুতেই সমাধান করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।