তেতো নিমের গুণের কথা সকলেই জানেন। নিমপাতা স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ভীষণ জনপ্রিয়। চুল ও ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে এই ভেষজ। নিমপাতায় আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ করতেও সাহায্য করে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে যাক কিভাবে ব্যবহার করবেন নিমপাতা
ত্বকের যত্নে নিমপাতা
১. নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে নিন পেস্টে। তৈরি হয়ে গেল নিম ও হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকে এই ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট তারপর কুসুম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
২. বলিরেখা দূর করতেও নিমপাতা অতুলনীয়। নিমপাতার পেস্টের সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটির নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মুখের বলিরেখা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক টানটান থাকবে।
৩. ব্রণের দাগ দূর করতে চাইলে নিমপাতা বাটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন এবং এটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
চুলের যত্নে নিমপাতা
১. চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা বাটার সাথে টক দই মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং গোসলের সময় শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
২. অকালে চুল পাকা রোধ করতে নারিকেল তেলের সাথে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় তেলটি চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং গোসলের সময় চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের অকালপক্কতা রোধে সহায়তা করে।
৩. চুলের খুশকির সমস্যা সামাধানেও নিমপাতার জুরিমেলা ভার। নিমপাতা বাটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাকটি ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর।