ডিজিটাল বিপ্লবের এ সময়ে জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ ডিভাইসটি এতটাই জনপ্রিয় যে, অবচেতন মনেই খানিক সময় পরপর হাতে থাকা স্মার্টফোনে ঢু মারছে। মোবাইল ফোনে মানুষ গড়ে কত সময় ব্যয় করছে এ বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান চালিয়েছে অ্যাপ মনিটরিং ফার্ম অ্যাপ অ্যানি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে দিনে একজন মানুষ গড়ে ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট মোবাইল ফোনে ব্যয় করে থাকেন। এমনকি কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া, বৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রহণ করার বিষয়গুলোও এর মধ্যে রয়েছে। অবস্থা এমন যে, চাইলেই সহজে মোবাইল ফোন বিচ্ছিন্ন জীবন কাটানো সম্ভব নয়। আর সেই জন্য প্রয়োজন মোবাইল ফোনের ব্যবহার যতটা সম্ভব নিরাপদ রাখা। আজকের আয়োজনে জানবেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম।
দীর্ঘ সময় আলাপ এড়িয়ে চলুন
অনেকে আছেন, যারা একবার আলাপজুড়ে দিলে তা দীর্ঘক্ষণ পার হয়ে গেলেও শেষ হয় না। গবেষকরা বলছেন, আপনার মাথা বা কানের কাছে মোবাইল ফোনটি থেকে ক্রমাগত রেডিও সিগন্যাল বের হচ্ছে এমন বিষয় দীর্ঘ সময় ধরে চলা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আর কানে মোবাইল ধরে ব্যবহার করলে ওই তরঙ্গের কান, চোখ ও মস্তিষ্কের কোষের কাছাকাছি থাকে।
স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার
বর্তমানে হাল ফ্যাশনে ব্লুটুথ হেডফোন পছন্দ। ব্লুটুথ প্রযুক্তি খুবই স্বল্পমাত্রার শক্তি ব্যবহার করে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবহার না করলে সেটি নিরাপদ হিসাবেই দেখেন প্রযুক্তিবোদ্ধারা। হেডফোন বা ফোনের স্পিকারের মাধ্যমে কথা বলার সময় ফোন দূরে রাখা সম্ভব। মোদ্দা কথা হচ্ছে, তরঙ্গ পাঠায় এমন ডিভাইস শরীর থেকে দূরে রাখা উচিত। অব্যবহৃত অবস্থায় ফোন সম্ভব হলে কোনো ব্যাগের ভেতরে রাখুন। ফোন বিছানায় নিয়ে ঘুমাবেন না।
সেলুরার ডেটা এবং ওয়াইফাই সীমিত করণ
ফোনের সেলুলার ডেটা এবং ওয়াইফাই প্রয়োজন না থাকলে বন্ধ রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে সব ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন বন্ধ রাখুন। এরই মধ্যে রয়েছে, বাসার ওয়াইফাই, সব ব্লুটুথ ডিভাইস। ফোনের অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজ থেকেই চলতে থাকে ও ডেটা ব্যবহার করে। ঘুমানোর সময় সে কারণেই এ সংযোগগুলো বন্ধ রাখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুর্বল সিগন্যাল এলাকা এড়িয়ে চলুন
মোবাইল টাওয়ার থেকে খুব খারাপ সিগন্যাল পাওয়া যায়, এমন জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। টাওয়ারের দুর্বল সিগন্যাল পেলে ফোন অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে। এ কারণে বেসমেন্ট, ভূগর্ভস্থ পার্কিং স্টেশন এবং লিফটে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এড়ানোর চেষ্টা করুন।
কম কল বেশি টেক্সট
দীর্ঘ কথোপকথনের তুলনায় লিখিত মেসেজ পাঠাতে কম ট্রান্সমিশন সময় লাগে ও নিরাপদে পাঠানো যায়। যেখানে এসএমএস, অ্যাপভিক্তিক টেক্সট বা ইমেইল পাঠানো যায় সেখানে ভয়েস কল এড়িয়ে চলুন। ভয়েস কলের তুলনায় মেসেজ পাঠানোর সময় ফোন শরীর থেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়।
শিশুদের মোবাইল নাগালের বাইরে
কোমলমতি শিশুদের ওপর বেশি পড়ে আরএফ বিকিরণের প্রভাব। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোবাইল ফোনের বিকিরণ হাড়ের ঘনত্বকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে। খুব দরকারি না হলে বাচ্চাদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেবেন না যদি না খুব জরুরি কিছু হয়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/chule-shampu/
নিরাপদ চার্জিং
সঠিক মাপের বিদ্যুৎ ব্যবহারে চার্জ নিশ্চিত করতে ফোন নির্মাতার তৈরি মূল চার্জারগুলো ব্যবহার করুন। চার্জ করার সময় ফোন এবং তারযুক্ত হেডসেটের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। মোবাইল ফোনে ঘটা দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ ঘটেছে ফোন চার্জ করার সময়।