শৈশব থেকেই আমাদের বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। একাডেমিক পরীক্ষা আবার রেজাল্টের প্রেশার। হোম ওয়ার্ক শেষ করা, স্কুলে সময় মত পৌঁছানো, বাসায় এসে পড়তে বসা। সব কিছু নিয়ে মোকাবিলা করা শুরু হয়ে যায় এই শৈশবেই। এসব চ্যালেঞ্জ শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। যা রাগ বা কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। অনেক শিশু এ সময় উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন তাকে শান্ত করা মা-বাবার দায়িত্ব।
শিশুকে নেতৃত্ব দিতে দিন
ইউনাইটেড উই কেয়ারের ক্লিনিকাল ডিরেক্টর ডাঃ ভাসুধা আগরওয়াল, টাইমস অব ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আপনার সন্তানের সাথে কথা বলার সময় বেশি পরামর্শ দিবেন না। এর পরিবর্তে, সন্তানের বয়স-উপযুক্ত চ্যালেঞ্জগুলি স্বাধীনভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতার উপর আস্থা রাখুন। তাদের অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করুন”। পরীক্ষার সময় শিশুকে নার্ভাস মনে হলে তাকে সেই বিষয়ের ওপর পদক্ষেপ নিতে দিন। তাকে শিখিল থাকার সুযোগ করে দিন। পরামর্শ না দিয়ে তাকে তার মত করে পড়তে দিন।
গেম প্ল্যান করে সহযোগিতা করুন
উদ্বেগ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি পরিচালনা করতে একটি গেম প্ল্যান করুন। পিছিয়ে পড়লে তাদের উৎসাহ দিন। খেলার ছলে তাকে পরিস্থিতি পরিচালনা করতে শেখান। শিশুদের কাছে সব কিছু গুরুতর ভাবে প্রদর্শন করবেন না। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে যাবে।
স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আলোচনা করুন
শিশুরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে তাদের গাইড করুন। ইতিবাচক এবং ক্ষমতায়িত সংলাপ করুন। তাদের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি পরিচালনা করার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করুন।
শিথিলতা
ডঃ আগরওয়ালের মতে, শিশুদের শারীরিক সংবেদনগুলি বুঝতে হবে। তাদের শরীরকে শিথিল করার পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের মনকে শান্ত করার জন্য অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের গাইড করতে হবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/kalori-joranor-way/
শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে নির্ভরতা দিন
সন্তান উত্তেজিত হলে তাকে আলিঙ্গন করুন। আপনার স্পর্শ তা্র ওপর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের আরামের অনুভূতি প্রদান করবে। উদ্বেগের লক্ষণগুলি দূর না হওয়া পর্যন্ত তাকে জড়িয়ে ধরে রাখুন।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া