ব্যস্ততার মাঝে আমরা আমাদের পায়ের দিকে তাকাতেই ভুলে যাই। এই অঙ্গটি আমাদের পুরো শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। সারাদিন যেকোনো শারীরিক অনুশীলনে পা এর ব্যবহার অপরিসীম। পা ছাড়া মানব জীবন অচল। কিন্তু শুষ্ক এবং ফাটা পা খুবই বিব্রতকর। পায়ে সুন্দর স্যান্ডেল পড়লেও মানায় না। তাই পা যতটা সম্ভব নরম রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আপনি বাসাতে বসেই পায়ের যত্ন নিন, যাতে আপনার পা নরম ও কোমল থাকে।
ফুট ফাইল ব্যবহার
তাৎক্ষণিক পেডিকিউরের জন্য, ফুট ফাইল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো পায়ের নীচের অংশটি নরম করতে সাহায্য করে। মৃত ত্বকের কোষগুলোকে নরম করে। গোসলের সময় এটি করুন। তাহলে সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাবেন। কারণ পানির ব্যবহারে এ সময় আপনার ত্বক নরম থাকে। ফুট ফাইল বৃত্তাকার গতিতে ঘষুন। পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
উষ্ণ পানির ব্যবহার
গরম পানি ক্লান্ত পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে। তবে খুব বেশি গরম পানি ব্যবহারে আপনার ত্বক শুকিয়ে যাবে। এতে পায়ে আরও সমস্যা দেখা দিবে। তাই পা ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
এক্সফোলিয়েটিং
লবণ, চিনি, মধু বা কফির মতো প্রাকৃতিক উপাদান এক্সফোলিয়েটিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বাজারেও আজকাল নানা রকমের স্ক্রাব পাওয়া যায়। সপ্তাহে ২-৩ দিন পা স্ক্রাব করুন। এতে মৃত ত্বকের কোষগুলো দূর হবে।
নারিকেল তেল
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নিয়মিত পায়ে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে, শীতকালে এবং এক্সফলিয়েশনের পরে। এতে আপনার পা কোমল থাকবে।
বেকিং সোডা
তিন চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে এক চামচ পানি মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা গরম পানিতে এই মিশ্রণটি দিয়ে দিন। তারপর ১০ মিনিট পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন। এই মিশ্রণটি আপনি এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে। এরসঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০-২০ মিনিটের জন্য পা ভিজিয়ে রাখুন। মৃত ত্বক অপসারণের জন্য একটি পায়ের ফাইল বা পিউমিস পাথর দিয়ে এক্সফোলিয়েট করুন। এরপর পানি দিয়ে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল প্রকৃতির অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। কেবল এই তেল রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে নিতে হবে। সকালে ওঠে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারের পর নিজেই এর পার্থক্য খুঁজে পাবেন।
মধু
মধু একটি চমৎকার উপাদান, যা এক্সফোলিয়েটিং হিসেবে কাজ করে। আবার ময়শ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। মধু ত্বকের আর্দ্রতা আটকে রাখে। ব্রাউন সুগার, কয়েক টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং মধু মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণ দিয়ে পা স্ক্রাব করুন। এরপর পা ভালমত ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
দুধ
চার কাপ দুধ ও এক মুঠো বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশ্রিত করুন। আগে থেকেই দুধ গরম করে নিন। এবার প্রায় ১০ মিনিটের জন্য দুধে পা ভিজিয়ে রাখুন। দুধে পা ডুবানোর আগে সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে পায়ে ঘষতে হবে। ১০ মিনিট হয়ে গেলে পা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
কলা
পায়ে কলা ঘষুন। এতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড অনেক উপকার করে। পায়ে কলা ঘষে প্রায় ২০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। এতে পা পরিষ্কার হবে। রোদে পোড়া দাগ দূর হবে। আপনার পা থাকবে নরম ও কোমল।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/skin-care-a-neem-pata/
টুথপেস্ট
টুথপেস্ট একটি শীতল স্ক্রাব, যা পিউমিস পাথর বা পায়ের ফাইলের মতো কাজ করতে পারে। এটি মৃত ত্বকের কোষগুলো এক্সফোলিয়েট করতে পারে। পায়ের নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। পায়ের ফোস্কা অপসারণের জন্য আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। আক্রান্ত অঞ্চলে পেস্ট প্রয়োগ করুন। এটি কয়েক ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। পায়ের নখ সাদা করার জন্য, পেস্ট নখগুলোতে প্রয়োগ করুন। একটি পুরানো টুথব্রাশ দিয়ে ঘষতে হবে। এবার নিজেই দেখে নিতে পারেন যে, আপনার পা কতটুকু পরিষ্কার হলো।