চোখের সামনে এমন কিছু দৃশ্য দেখা যায়, যেগুলিকে এক ঝলকে দেখলে অন্য কিছু মনে হয়। ভাল করে খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, যা দেখা গিয়েছে, তা সত্য নয়। এমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে।
রজ্জুতে সর্পভ্রম কমবেশি আমাদের সকলেরই কোনও না কোনও সময় হয়ে থাকে। অর্থাৎ, দৃষ্টিবিভ্রম হয়। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘অপটিক্যাল ইলিউশন’। চোখের সামনে এমন কিছু দৃশ্য দেখা যায়, যেগুলিকে এক ঝলকে দেখলে অন্য কিছু মনে হয়। ভাল করে খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, যা দেখা গিয়েছে, তা সত্য নয়। এমনই এক ছবি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি সমাজমাধ্যমে, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ছবিতে পাহাড়ে চড়ার একটি সাইকেল দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে সাইকেলটিকে দেখে মনে হচ্ছে, তার সামনের চাকাটি নেই। সেটি স্রেফ ভাঙাচোরা অবস্থায় কাদামাটির উপরে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু একটু সময় নিয়ে ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, সাইকেলটির সামনের চাকা রয়েছে। তবে চাকার টায়ারটির আপাদমস্তক কাদামাটি লেগে থাকায়, তার কালো রঙটি কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। নীচের মাটির সঙ্গে টায়ারের কাদামাটির রঙ মিশে যাওয়ায় মনে হচ্ছে সাইকেলটির সামনের চাকাটিই নেই।
এই ছবিটি দেখার পর, অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, “অদৃশ্য টায়ার! সাহস করে সাইকেলটায় চেপে পড়ুন। দেখবেন কী সুন্দর ভেসে পড়বেন।” আর এক জন মন্তব্য করেছেন, “এটা দারুণ একটা ছবি, জীবনে কখনও এমন ছবি দেখিনি।”
কয়েক দিন আগেই আমেরিকা নিবাসী কেলি রজার্স তাঁর নাতির সঙ্গে টরন্টোর লবণ নদী অঞ্চলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হঠাৎ খেয়াল করেন, নদীর উপরে থাকা দু’টো ঘোড়া হঠাৎ জলের স্রোতে ভাসতে শুরু করেছে। পরে অবশ্য তিনি বুঝতে পারেন, এ সবই তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম। আসলে ঘোড়া দু’টো নদীর অগভীর জায়গায় দাঁড়িয়েছিল।
আর কেলির নৌকা নদীর বিপরীতমুখী স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল। তাই, গাছপালা কিংবা অন্যান্য দৃষ্টিগোচর বস্তুর মতো ঘোড়া দু’টিও অন্যদিকে চলছে বলে তাঁর মনে হয়েছিল। এই ঘটনার ভিডিও করে তিনি সমাজমাধ্যমে দেন। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।