কোলোরেক্টাল সার্জনদের এ প্রশ্নটি প্রায়ই শুনতে হয়। বিশেষত অপারেশনের কথা বলা হলে। সেই প্রশ্নটি হচ্ছে, “একবার পাইলস অপারেশন করলে নাকি বারবার করতে হয়? সেটি নাকি ভালো হয় না?” কোথায় এটি শুনেছেন এ প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আশপাশের লোকজন বলে। এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে-‘না’। একটি সুস্পষ্ট ‘না’। হাজার হাজার অপারেশন হয়। কিন্তু পাইলস আর হওয়ার হার অতি নগণ্য। ১০ বছরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে এটি হাজারে একটির মতো, অর্থাৎ ০.১ শতাংশ।
প্রশ্ন থেকে যায়, এ প্রশ্নটি জনমনে এতভাবে এলো কীভাবে? এর কারণ বহুবিধ। এর মধ্যে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পায়ুপথে পাইলসের সঙ্গে আরও বিভিন্ন রোগ থাকতে পারে। যেমন- এনাল ফিশার (Anal Fissure) ; এনাল স্টেনোসিস (Anal Stenosis) ইত্যাদি। এসব রোগের চিকিৎসাও অবশ্যই পাইলস অপারেশনের সঙ্গে করে দিতে হবে। না হলে রোগীর মনে হবে তিনি ভালো হননি। পাইলস অপারেশনের ভীতির আর একটি বড় কারণ হচ্ছে অনেকেই অপচিকিৎসার শিকার হন। এদের চিকিৎসার ফলে অনেকেই বিভিন্ন বড় বড় সমস্যায় ভুগেছেন।
অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে গোপনে এদের কাছে চিকিৎসা করান। ফলে তারা সারা জীবনের জন্য রোগী হয়ে যান। আশপাশের লোকজন স্বভাবতই তার কষ্ট দেখে মনে করেন পাইলস চিকিৎসা ভালো হয় না।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/kivabe-bujben-microphone/
এগুলো এখন অতীত। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার কারণে, লেজারের সাহায্যে পাইলসের চিকিৎসা করা হচ্ছে। যেখানে কোনো কাটাছেঁড়া নেই, রক্তপাত নেই, ব্যথা বেদনাও ন্যূনতম এবং রোগী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি যাচ্ছে। পাশাপাশি পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
লেখক: অধ্যাপক ও কোলোরেক্টাল সার্জন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলী, ঢাকা। ফোন: ০১৮৬৫-৫৫৫৫০০